বুধবার ● ১৭ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » সিলেট » প্লেন বানানো ক্ষুদে উদ্ভাবক আনিসুলকে দুই লাখ টাকা দেয়ার আশ্বাস
প্লেন বানানো ক্ষুদে উদ্ভাবক আনিসুলকে দুই লাখ টাকা দেয়ার আশ্বাস
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
হাওরপাড়ের স্কুল পড়োয়া ক্ষুদে উদ্ভাবক আনিসুল হক(১৬)কে দুই লাখ টাকা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল।
মঙ্গলবার(১৬ জানুয়ারি)বিকেলে তার নিজ কায্যালয়ে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এই টাকা দেয়ার আশ্বাস দেন। এসময় আনিসুল হক ও তার বাবা আব্দুল আহাদকে ফুল দিয়ে বরণ করে মিষ্টি মুখ করান তিনি।
সম্প্রতি রিমোট কন্ট্রোলে নিয়ন্ত্রণে রেখে কর্কসিটের তৈরি বিমান আকাশে উড়ানো তাক লাগিয়েছে। তার এই উদ্ভাবক টেলিভিশন ও সংবাদ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে ব্যাপক প্রসংশিত হয়।
এসময় বাদাঘাট ড্রিগ্রী কলেজের অধক্ষ্য জুনাব আলী,তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুনাব আলী,বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ধানু,হাজী এম এ জাহের উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোর্শেদ,উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমীর আলী,তাহিরপুর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সেলিম আখঞ্জি,স্থানীয় সাংবাদিক, গন্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।
ক্ষুদে উদ্ভাবক আনিসুল হক জানায়,আজ আমি খুবেই আনন্দিত সবাই আমার প্রশংসা করছে। উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে দুই লাখ টাকা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এই টাকা পেলে আমার আগামী দিন গুলোতে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে নতুন কিছু আবিষ্কারের সহায়ক হবে সেই সাথে আমার পড়াশোনা কাজে লাগবে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান,হাওর পাড়ের কৃষক পরিবারের সন্তান অল্প বয়সেই আনিসুল হক তার মেধা কাজে লাগিয়ে বিমান তৈরি করে আকাশে উড়িয়েছে যা প্রশংসনীয় কাজ। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে দুই লাখ টাকা খুব শ্রীর্ঘই দেয়া হবে,যাতে করে সে এই বিমানটিকে আরও আধুনিকায়ন করে এছাড়াও আরও নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে যন্ত্রাংশ ক্রয় করতে অর্থের সংকট না হয়। তার আবিষ্কার যেন থেমে না যায়, সেই সাথে লেখাপড়া চালাতে পারে এবং ভবিষ্যতে ভাল ভাবে নিজেকে তুলে ধরতে পারে।
উল্লেখ্য,রিমোট কন্ট্রোলে নিয়ন্ত্রণে রেখে কর্কসিটের তৈরি বিমান আকাশে উড়িয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে হাওর পাড়ের স্কুল পড়োয়া কিশোর আনিসুল হক(১৬)। তার আবিষ্কৃত ছোট্ট প্লেনটির ওজন ১ কেজি ৮০০গ্রাম,দৈর্ঘ্য ৫ ফিট, উচ্চতা ও প্রস্থ সাড়ে ৬ ইঞ্চি।
ক্ষুদে এই উদ্ভাবক আনিসুল হকের সাথে কথা বলে জানায়,২০২৩সালে ককসিট দিয়ে বিমান তৈরি শুরু করছিলাম কিন্তু সফল হতে পারি নি। এরপর চলতি বছরের ৩ জানুয়ারী এই বিমানটি তৈরী করে আকাশে উড়ানোর চেষ্টা করি। এই বিমানটি দেড় বছর সময় লেগেছে আকাশে উড়িয়ে দিতে। আর তৃতীয় বারের মত আকাশে উড়িয়েছি আর বিমান তৈরিতে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। টাকার যোগান দিয়েছেন আমার পরিবার।
আনিসুল হক আরও জানায়,তার প্লেনটিতে রয়েছে ব্র্যাস লেস ডিসি মটর ২ টি,মটরের স্পীড নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আরো এএসসি ৩০ এমপিয়ার ২টি ইলেকট্রিক সারভো মটর। প্লাইসস্কাই একটি রিমোট সংযোজন করা হয়েছে। প্লেনটি এক কিলোমিটারের বেশি রেঞ্জ পর্যন্ত আকাশে উড়তে পারে। তবে প্রযুক্তি ব্যবহার করলে রেঞ্জ আরো বাড়ানো সম্ভব বলে সে জানায়।
আনিসুল হকের দাবি করেন,সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে চীন,জাপান ও আমেরিকার মত উন্নত প্রযুক্তির মনুষ্য বিহীন প্লেন,ড্রোন ও যান বানাতে পারবে। জমিতে সার প্রয়োগেও কাজে লাগাতে পারবে তার তৈরী ড্রোন তৈরি করতে পারবে।
বিষয়: #উদ্ভাবক #ক্ষুদে #প্লেন #বানানো