শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Somoy Channel
মঙ্গলবার ● ১৬ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » সাহিত্য রম্যগল্প » গল্প: ভুল
প্রথম পাতা » সাহিত্য রম্যগল্প » গল্প: ভুল
৫৪১ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ১৬ জানুয়ারী ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

গল্প: ভুল

গল্প: ভুলমাঝরাতে ভাবীর ঘরে গিয়ে ভাবীর কোমরে স্পর্শ করতে ভাবীর শরীর শিরশির করে উঠতে ঘুম ভেঙ্গে যায়।ভাবী চোখ মেলে চিৎকার করতে যাবে ঠিক তখন-ই আমি ওর মুখ চেপে ধরি আর বলি,

আমি ভাবি আমি ধ্রুব। চিৎকার করবেনা।

ভাবি: ধ্রুব তুই আমার ঘরে তাও এতরাতে বলে ভাবি শোয়া থেকে উঠে কাপড়টা ঠিক করে নেয়

আমি: ভাবি আমি আর পারছিনা তোমাকে ছাড়া থাকতে জানি আমিও যা চাই তুমিও তা চাও।তোমারও কষ্ট হয় একা একা থাকতে।

ভাবি ছিঃ ধ্রুব এসব কি বলছিস তুই কি পাগল হয়ে গেলি? যা এখন-ই এ ঘর থেকে বের হ

আমি: এমন কেন করছো কেউ জানবেনা কেউ বুঝবেনা সবাই ঘুমিয়ে আছে।দাওনা একটা সুযোগ তোমাকে আ*দ*র করার বলতে ভাবি ঠাস করে একটা চড় মেরে আমায় ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়.

নিজের ঘরে এসে ভাবতে লাগলাম জোর করে কিছু হবেনা যা করার সময় করে সুযোগ বুঝে করতে হবে।ঘুমিয়ে পড়লাম কিন্তু ভাবির চড়টা বার বার যন্ত্রণা দিচ্ছে।তাই এর প্রতিশোধ আমাকে নিতে হবে।চোখটা কখন যে লেগে এলো বুঝতে পারিনি।সকালে ঘুম ভাঙ্গতে দেখি সবাই টেবিলে নাস্তা করছে মা বাবা আর ভাবি আমি ব্রাশ করতে করতে ভাবির দিকে তাকিয়ে আছি। দেখে মনে হয় এখনও রাগ কমেনি বাবা হঠাৎ আমায় দেখে বলে

বাবা: ধ্রুব শোন

আমি:হুম বলো

বাবা:আমি আর তোর মা আজ নিলার স্বামীর বাড়ি যাবো ফিরতে দেরি হবে দুপুরে ওখানে খাওয়া দাওয়া করবো।তুই বাড়ি থাকিস বৌমাকে একা রেখে যেতে মন চায়না

আমিতো খুশিতে আত্মহারা।

আমি:ও নিয়ে তোমায় ভাবতে হবেনা আমার আজ কোন কাজ সারাদিন বাড়িতে কাটিয়ে দেব

আম্মু:তাহলে হয়ে গেলো নিশ্চিন্তে যাওয়া যাবে

আমি হাতমুখ ধুতে গেলাম মনটাও বড্ড খুশি আজকের সুযোগটা আর হাত ছাড়া করা যাবেনা।

সকাল ১০টা বাজতে মা বাবা বেরিয়ে গেলো। এখন বাসায় শুধু আমি আর ভাবি। মা বাবাকে গাড়িতে তুলে দিয়ে এক বন্ধুর সাথে দেখা করে একটা গোপন ক্যামেরা নিলাম বাসায় এসে দেখি ভাবি তার ঘরে তারপর আমি মোবাইলে বসে বসে গেম খেলতে লাগলাম

গেম খেলাটা রেখে উঁকি মেরে দেখি ভাবি রান্নাঘরে রান্না নিয়ে ব্যস্ত এখন এই সুযোগে আমি গোপন ক্যামেরাটা ভাবির গোসলখানায় লাগিয়ে দিয়ে নিজের ঘরে এসে শুয়ে রইলাম

মন মানেনা তাই রান্না ঘরে গিয়ে ভাবির সাথে ভাব জমাতে চাইলাম কিন্তু হলোনা।

রান্না ঘরে যেতে ভাবি বলে,,

ভাবি: আরে ধ্রুব তুই এখানে কেন আসলি তোকে না বলছি একদম আমার কাছে আসার চেষ্টা করবিনা।

আমি: না ভাবি একটু পানি নিতে আসলাম

ভাবি:ফ্রিজে আছে নিয়ে এখান থেকে চলে যা

আমি পানির বোতলটা নিয়ে চলে আসলাম

আর মনে মনে ঠিক করলাম তোমার সব দেমাগ আমি আজকে শেষ করে দিব।

অপেক্ষার পর অপেক্ষা বড্ড আফসোস ভাবিকে একা পেয়েও তার কাছে যেতে না পারা।

দুপুর হতে ভাবি দরজা এসে ঠকঠক করে

আমি:কে

ভাবি: আমি

আমি:দরজাটা খুলে ওহহহহ ভাবি তুমি কি ব্যপার

ভাবি:টেবিলে খাবার রাখা আছে খেয়ে নিও

আমি:তুমি খাবেনা

ভাবি:তুমি খেয়ে নাও আমি পরে খাবো বলে ভাবি নিজের ঘরে চলে গেলো।

আমি খাবার খেয়ে ছাদে গিয়ে সিগারেট টানতে লাগলাম।সিগারেট টানতে টানতে দেখি ভাবি আসলো তার কাপড় গুলো শুকাতে গেল

আমি সিগারেট ফেলে নিচে গেলাম। এই সুযোগ ক্যামেরাটা খুলে নেবার ক্যামেরাটা খুলে চালিয়ে দেখলাম উফফফফ ফাটাফাটি হয়েছে এটা দিয়ে আমার মনের ইচ্ছাটা পূরণ হবে অপেক্ষা এবার রাতে এখন একটু ঘুমিয়ে নিলে ভালো হয় কে জানে হয়তো আজকের রাতটা জেগে জেগে কাটাতে হবে।আস্তে আস্তে সন্ধ্যা নেমে আসল,আর আমার ইচ্ছেগুলো পূরণ হওয়ার সময়ও আসছে। কিন্তু আজ মনে হচ্ছে সময় যাচ্ছেই না,,এদিকে আমার ধৈর্যের বাঁধ ভাইঙ্গা যাচ্ছে, অবশেষে রাত গভীর হল,আমি বিরাট খুশি মনে আস্তে আস্তে ভাবির রুমে প্রবেশ করলাম।গিয়ে দেখি ভাবি এখনও ঘুমাইনি।

ভাবি আমাকে দেখে চমকে উঠল,

ভাবিঃ- কিরে রুদ্র, তুই এখানে, তাও আবার এত রাতে! তোকে না আমার আশেপাশে আসতে বারন করেছি! তাও তুই আবার আসসিস!!!

আমিঃ- ভাবি,ভাই বাসায় নেই,আম্মু আব্বুও নেই,শুধু তুমি আর আমি। আবার আম্মু আব্বুও বলে গেছে তোমাকে যেন খেয়াল রাখি। তাইতো তোমাকে দেখতে আসলাম,আর একটু ভালোবাসতে আসলাম।

ভাবিঃ- রুদ্র, তুই এইগুলা কি বলছিস!! তোর মাথা ঠিক আছে? এক্ষুনি এখান থেকে যা,নইলে আমি চিৎকার শুরু করবো।।

আমিঃ- ভাবি,তুমি চিৎকার করার আগে আমার কথাটা আগে শুনে নাও।

ভাবিঃ- কি বলবি তুই? তোর কোনো কথাই আমি শুনতে চাইনা,,আব্বু আম্মু আসুক,আমি তাদেরকে সব বলে দিব,

আমিঃ- সেই সুযোগ তো তুমি পাবেই না।

ভাবিঃ- (অবাক হয়ে) মানে! কি বলতে চাসসিস তুই??

আমিঃ- এত অবাক হইয়ো না ভাবি। [ভাবিকে ভিডিওটা একটু দেখিয়ে ]

এখন আমি যা বলবো তোমাকে তাই করতে হবে,নইলে এটা ভাইরাল করে দিবো,,আর যদি ভাইয়া দেখেই ফেলে,তবে তো…….

ভাবি নিস্তব্ধ হয়ে গেল।

একটু পর বলল,

ভাবিঃ- তুই এত নিচু হতে পারলি কি করে?

তোকে আমি এতটা স্নেহ করতাম,আর আজ তুই কিনা,,,,,,ছিঃ

আমিঃ- এত কথা আমি বুঝিনা,তোমাকে যা করতে বলবো তাই করবা,নাকি আমি ভাইরাল করে দিব? ওহ তোমাকে তো বলতে ভুলেই গিয়েছি, আমাদের মধ্যে যা কিছুই হবে,সেটা কেউ জানতে পারবে না। এখন বলো,,তুমি রাজি??

সবাই গল্প পড়ে ক”মে”ন্ট করবেন । পরবর্তী পর্ব পোস্ট করা হলে ক”মে”ন্টে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। গল্পটা ভালো লাগলে শে-য়া-র করুন । নতুন পাঠকেরা গল্পের কোনো পর্ব মিস না করতে চাইলে আমার প্রফাইলে যু”ক্ত হয়ে সাথেই থাকুন !

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত



বিষয়: #  #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)