মঙ্গলবার ● ১৬ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » বিশেষ সংবাদ » ‘আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে, সরকার জনগণের সেবক’
‘আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে, সরকার জনগণের সেবক’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে, সরকার জনগণের সেবক। আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, সেবক হিসেবে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে এসেছি। টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকায় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। মানুষ এখন ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে।
১৬ জানুয়ারি, মঙ্গলবার দুপুরে গণভবনে প্রবাসী আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি লিফলেট বিতরণের যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল তাতে জনগণ বর্জন না করে উল্টো ভোট দিতে উৎসাহিত হয়েছিল। বিএনপির ভোট বর্জনের লিফলেট প্রত্যাখ্যান করে দেশবাসী ৭ জানুয়ারি ভোট দিয়েছে। জনগণ ধরে নিল ভোট দিতেই হবে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনে তারা ভোট দিয়েছে।
বিএনপির সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, অন্ধকার পথে বিএনপি। তারা আলো ঝলমল নির্বাচন বাদ দিয়ে অন্ধকারের গলিপথ খুঁজে। তারা জানে মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ। এর চেয়ে ভালো কিছু জানা নেই। তবে ভোটে জনগণের বিজয় হয়েছে।
দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রবাসীদের অবদানের কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, স্বাধীনতা-সংগ্রামে বিশ্ব জনমত সৃষ্টিতে প্রবাসীরা বিরাট অবদান রাখেন। প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদের বিরাট অবদান রয়েছে। সেটা ছাড়াও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা আমাদের স্বাধীনতা-সংগ্রামে, যেকোনো আন্দোলনে অবদান রেখেছেন। যখন বাংলাদেশে মার্শাল ল জারি হয়, আমরা যখন কাজ করতে পারি না, তখন প্রবাসীরা প্রতিবাদ জানান। আপনারা আন্দোলন-সংগ্রাম করেন। জনমত সৃষ্টি করেন। এটা আমাদের জন্য বিরাট শক্তি।
অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞ বন্ধের দাবি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এই গণহত্যার নিন্দা জানিয়েছি। আমরা যুদ্ধের পক্ষে না, শান্তির পক্ষে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ না থাকলে উন্নতি হয় না। অস্ত্র প্রতিযোগিতার মতো জঘন্য কাজ নেই। অস্ত্রের টাকা মানবকল্যাণে, শিশু বিকাশে ব্যয় হোক। ফিলিস্তিনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে আরও দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলার বিবরণ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আমার ছেলের বউ ও মেয়ের কাছে ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দিয়েছে। আমি তাদের কাছে মাফ চেয়ে রওয়ানা করেছি মামলা ফেস করতে। আসতেও বাধা দিয়েছে। আমাকে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ফেরত দেয়। সেটি বিশ্বের ১৫৬ পত্রিকায় প্রকাশ হয়। যার কারণে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা পেয়েছিলাম। ওই সময়ে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতারা আমার পাশে ছিলেন। আপনাদের অবদান গণতন্ত্রের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, আপনারা যারা প্রবাসে কাজ করেন, ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে পারেন। সবার জন্য এ সুবিধা করে দিয়েছি। রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য সব অনলাইন করে দিয়েছি। সহজে এখন টাকা পাঠাতে পারবেন।
বিষয়: #নির্বাচন ২০২৪