হবিগঞ্জের ২ আসন আজমিরীগঞ্জের বদলপুরে স্বতন্ত্রপ্রার্থী এড:আব্দুল মজিদ খানের শোডাউন থেকে সমর্থক কর্তৃক নারীকে লাঞ্ছিত ও গলার স্বর্নের চেইন ছিনতাই।।

নিজস্ব প্রতিনিধি:- হবিগঞ্জের ২ আসনের আজমিরীগঞ্জের বদলপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট আব্দুল মজিদ খাঁনের ঈগল প্রতীকের সমর্থনে শোডাউনের সময়ের এক পর্যায়ে গ্রামের ভিতরে এক বাড়িতে প্রবেশ করে এক নারীকে লাঞ্ছিত করে ও তার গলার চেইন ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে শোডাউনে অংশ নেয়া এক সমর্থকের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে বদলপুর ইউনিয়নের কাটাখালীর বাজার সংলগ্ন পাথারিয়া হাটী নামক গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গ্রামবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তবে ওই ঘটনার সহিত জড়িত সমর্থক অপরিচিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জের বদলপুরের কাটাখালীর পাথারিয়া হাটি গ্রামে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর অনুমানিক ৩ টার দিকে ২নং বদলপুর ইউপি’ চেয়ারম্যান সুসেনজিৎ চৌধুরীর নেতৃত্বে কাটাখালী বাজার সংলগ্ন পাথারিয়া হাটির সামনের ফুটবল খেলার মাঠে স্বতন্ত্রপ্রার্থী এডভোকেট আব্দুল মজিদ খাঁনের ঈগল প্রতীকের সমর্থনে তার সমর্থকরা একটি মিছিল বের করে।
উক্ত মিছিলের এক ফাঁকে কয়েকজন সমর্থক পাথারিয়া গ্রামে প্রবেশ করে।
এ সময় ওই গ্রামের বাসিন্দা জীবন চন্দ্র দাসের বাড়ির পিছন দিকে প্রবেশ করে তার স্ত্রীকে হেনেস্থা করে ও গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় ওই গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী দুই যুবক তাদের ধাওয়া দিলে মিছিলে অংশ নেয়া কয়েকজন মিলে ওই দুই যুবককে বেধরক মারপিট করে।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, সামনের মাঠে এডভোকেট আব্দুল মজিদ খাঁনের ঈগল প্রতীকের সমর্থকরা মিছিল করছিল।আমি ঘরের সামনের দরজা বন্ধ করে বাড়ির পিছনে কাজ করছিলাম।
এ সময় একজন অপরিচিত যুবক হঠাৎ আমার পিছনে এসে আমাকে হেনেস্থা করে ও আমার গলার চেইন নিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
আমি তখন ভয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিপ্রেশ দাস ও গোপেশ চন্দ্র দাস জানান, মিছিলের এক সময় দেখি গ্রামের দুই মহিলা দুইজনকে ধাওয়া করছে। বিষয়টি জানার পর আমরাও তাদের ধাওয়া করে মাঠে যাই। কিন্তু এসময় তাদের সাথে থাকা অন্য সমর্থকেরা আমাদের মারপিট করে। বিষয়টি জানাজানি হলে, তাৎক্ষণিক শোডাউনকারীরা পিকআপ ও মোটরসাইকেল চড়ে পাহাড়পুরের দিকে চলে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য অটল কুমার দাস বলেন, ‘আজকে যে ঘটনা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। আমাদের মা বোনের ইজ্জতই যদি নিরাপদ না থাকে,তবে আর কি বলব?
এ বিষয়টি জানতে একাধিকবার বদলপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুসেজিৎ চৌধুরীর সহিত যোগাযোগ করা হলে, উনার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ শফিকুল ইসলাম সরজমিনে ঘটনাস্হলে ছুঁটে যান।
এ ব্যাপারে উনি বলেন,বিষয়টি জানার পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার পর সরজমিনে ঘটনাস্হলে আমরা কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে যদি উনারা এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেন তবে আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আকিকুর রহমান রুমন।