বৃহস্পতিবার ● ৪ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » শিরোনাম » সশস্ত্র বাহিনী মাঠে আছে, প্রশাসনকে সহায়তা করবে : ইসি সচিব
সশস্ত্র বাহিনী মাঠে আছে, প্রশাসনকে সহায়তা করবে : ইসি সচিব
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনের সব আয়োজন নির্বাচন কমিশন সম্পন্ন করেছে। ভোটের মাঠে সশস্ত্র বাহিনী মাঠে আছে। প্রয়োজনে তারা প্রশাসনকে সহায়তা করবে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাতে নির্বাচন কমিশন সচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন যারা আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহ তাদের প্রধানদের সঙ্গে আজকে আমাদের বিশেষ মিটিং হয়েছে, সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কমিশনার এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার মহোদয়সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাহিনীগুলোর প্রধান ও মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন। সব বাহিনী মাঠপর্যায়ে তাদের পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী মাঠে নেমে গেছে। এটা একটা ফলোআপ মিটিং ছিল, কোন বাহিনীর কত জন, কোথায় কীভাবে কাজ করছেন। সেই পরিকল্পনা তারা নিজ নিজ জায়গা থেকে কমিশনকে অবহিত করেছে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকেই তারা বলেছেন, এ পর্যন্ত মাঠে যে পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত অবস্থা, তা এখন পর্যন্ত তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত নির্বাচনে বড় ধরনের কোনো আশঙ্কা করছেন না। তবে যেহেতু একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে এজন্য প্রত্যেকেই তারা তাদের নিজ নিজ গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক আরও সক্রিয় রাখবে, যাতে কোনো ধরনের ঘটনা ঘটার আগেই তা নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়। প্রত্যেক বাহিনী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী তারা মোতায়েন থাকবে। কেন্দ্রগুলোর অতীত ইতিহাস, ভোটারের সংখ্যা এই সমস্ত বিষয়গুলো আমলে নিয়ে পুলিশের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ কেন্দ্রে দুই জন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র তিনজন, অতিগুরুত্বপূর্ণ তিনজন পুলিশ এভাবে নিয়োজিত করা হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা, তারা তো পেট্রল ডিউটি করবেন। তারপর বিজিবি ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে পেট্রল ডিউটি করবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তারা বিভিন্ন নোডাল পয়েন্টে অবস্থান করবে। স্থানীয় প্রশাসন অর্থাৎ বেসামরিক প্রশাসন যারা রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার আছেন, তাদের চাহিদা অনুযায়ী তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে তারা সেই সমস্ত জায়গাগুলোতে কাজ করবেন। এছাড়া সমন্বিতভাবে তারা পেট্রল ডিউটি অব্যাহত রাখবে। জনগণের মধ্যে যেন ভীতি না থাকে, যে ভোটকেন্দ্রে গেলে তাদের কোনো বিপদ না এই বিষয়টি তারা কাজ করবে। যেহেতু নির্বাচন একেবারে কাছে। তাই এটি একটি ফলোআপ মিটিং ছিল। তারা কমিশনকে মাঠের অবস্থাটা অবহিত করছেন। কমিশনের অবস্থাটা আমরা বারবার বাইবেলের মতো বলে যাচ্ছি ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন। যিনি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটাবেন তিনি আইনের আওতায় আসবেন।
সচিব বলেন, কোনো সহিংস ঘটনা যদি ঘটে কিংবা ঘটার মতো পরিস্থিতি যদি সৃষ্টি হয়…প্রথম হচ্ছে আমরা প্রত্যাশা করি না, এই নির্বাচনে কোনো সহিংস ঘটনা ঘটবে। যদি ঘটে তখন সমন্বিতভাবে সবাই সেটা প্রতিহত করবে। সশস্ত্র বাহিনী কী সেখানে মুভ করবে বা সেটা প্রতিহত করার কোনো ব্যবস্থা নেবে— সশস্ত্র বাহিনী মাঠে রয়েছে, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য। সুতরাং যেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটবে বেসামরিক প্রশাসন সেখানে তারা মোকাবিলা করবে।
বিষয়: #নির্বাচন ২০২৪