শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

Somoy Channel
বৃহস্পতিবার ● ৪ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » বাংলাদেশে ২০২৩ সালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন তিনগুণ বেড়েছে, ঘাটতি কমছে
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » বাংলাদেশে ২০২৩ সালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন তিনগুণ বেড়েছে, ঘাটতি কমছে
৫৬ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ৪ জানুয়ারী ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশে ২০২৩ সালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন তিনগুণ বেড়েছে, ঘাটতি কমছে

বাংলাদেশে ২০২৩ সালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন তিনগুণ বেড়েছে, ঘাটতি কমছেবাংলাদেশের ২০২৩ সালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদন তিনগুণ বেড়েছে একই সাথে দেশের বিদ্যুতের ঘাটতি কমছে। ৩ জানুয়ারি, বুধবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ২০২৩ সালে তার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদন প্রায় তিনগুণ বাড়িয়েছে। সরকারি তথ্যের রয়টার্স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এটি এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি থেকে বিদ্যুতের ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে এবং ক্রমবর্ধমান উৎপাদন খরচ কমিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি হিসেবে কয়লা প্রাধান্য পেয়েছে। কারণ বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমায় ও দুর্বল মুদ্রার কারণে ব্যয়বহুল প্রাকৃতিক গ্যাস, ফার্নেস অয়েল এবং ডিজেল আমদানিতে হিমশিম খাচ্ছিল সরকার।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশ (PGCB) এর দৈনিক অপারেশনাল রিপোর্টের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০২৩ সালে রেকর্ড ২১ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা (kWh) হয়েছে, যেখানে ২০২২ সালে কয়লা থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ছিল ৭.৯ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা।

জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, নতুন একটি ইউনিট চালু হতে যাওয়ায় এ বছর কয়লার ব্যবহার আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, গ্যাসের ওপর নির্ভরতা স্থির থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে তরল জ্বালানির ব্যবহার কমবে।

পিজিবির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি হিসেবে ২০২৩ সালে কয়লার অংশ বেড়ে ১৪.২% হয়েছে, যা ২০২২ সালের ৮.৯% ছিল। অন্যদিকে, জ্বালানি হিসেবে ২০২২ সালে প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিমাণ ছিল ৫১% যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৫৫.২%, যা চার বছরের মধ্যে প্রথম বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে ২০২৩ সালে প্রাকৃতিক গ্যাসের অংশ গত দশ বছরের গড়ের (প্রায় ৬৬ শতাংশ) তুলনায় বেশ কম ছিল। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশ গ্যাস ব্যবহার কমিয়েছে। এছাড়া দেশের প্রধান গ্যাসের উত্স স্থানীয় গ্যাসের মজুত ও এলএনজি আমদানি কমছিল।

রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বাংলাদেশকে চার বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো গড় উৎপাদন ব্যয় কমানোর পথে নিয়ে গেছে। ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসের হিসাবে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের গড় খরচ প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় ৫.২৩ টাকা (৪.৭৮ মার্কিন সেন্ট) ছিল, যা ২০২২ সালের চেয়ে প্রায় ৯% কম।

বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীল শীর্ষ দশ অর্থনৈতিক দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। তবে এই বছর সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়ে এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর মাধ্যমে সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির আশা করছে বাংলাদেশ।

শিল্প ক্ষেত্রের কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী কয়েক বছরে জীবাশ্ম জ্বালানি বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাধান্য বিস্তার করতে থাকবে, তবে এই দশকে মোট উৎপাদনের ৫% এর বেশি অংশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অবদান আশা করা যায় না। সূত্র: রয়টার্স



বিষয়: #  #  #  #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)