শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

Somoy Channel
বুধবার ● ৩ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » সাহিত্য রম্যগল্প » রিমি পাখি আমি আসছি
প্রথম পাতা » সাহিত্য রম্যগল্প » রিমি পাখি আমি আসছি
৭৪ বার পঠিত
বুধবার ● ৩ জানুয়ারী ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

রিমি পাখি আমি আসছি

রিমি পাখি  আমি আসছিআমাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিলেন অয়ন ভাইয়া তারপর দরজা লক করে বিছানার সাথে আমার হাত চেপে ধরলেন হঠাৎ এরকম কান্ডে আমি কিছুই বুঝি উঠতে পারছিনা আমি কিছু বলবো তার আগেই অয়ন ভাইয়া নিজের ঠোটের সাথে আমার ঠোট চেপে ধরলেন এইরকম ঘটনায় আমি অবাকের চরম সীমানায় পৌছে গিয়েছি অয়ন ভাইয়া আমার ঠোট কামড়াচ্ছেন আমি শত চেস্টা করেও ভাইয়াকে সরাতে পারছিনা আমি যত সরাতে চাচ্ছি ভাইয়া তত আমাকে চেপে ধরছেন আমি চোখ থেকে অনবরত অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে অনেক কস্ট হচ্ছে কিন্তু ভাইয়ার সেদিকে কোনো খেয়াল নেই সে তো আমার ঠোটের উপর রাগ ঝাড়ছে তার চোখ দুটোও অসম্ভব লাল হয়ে রয়েছে
আমি জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী আমার কাকামনি ও কাকিমা চাচাতো ছোট ভাই বোন ও আমার আপন বড় বোন এর সাথে থাকি আমার মা নেই আমাদের অনেক বড় বিসনেজ কাকামনি দেশেরটা সামলায় আর বাবা বিদেশের টা আজকে আমার আপন বড় বোন এর ইন্গেজমেন্ট ছিলো তাই বাবা কয়দিনের জন্য দেশে এসেছেন আর এই খাটাশ টা আমার মামাতো ভাই অয়ন ভাইয়া
কিছুক্ষন আগে…
ইন্গেজমেন্ট পার্টিতে.. আমি এতটায় বেখেয়ালি ছিলাম যে কখন যে পেট থেকে লেহেঙ্গার ওড়না টা সরে গিয়েছিলো খেয়াল ছিলো খেয়াল করলাম অজয় (আমার আপুর হবু দেবর) আমার পেটের দিকে তাকিয়ে আছে তাই তাড়াতাড়ি করে ওয়াসরুমে যায় ঠিক করতে কিন্তু তার আগেই অয়ন ভাইয়া আমাকে টানতে টানতে আমার ঘরে বিছানায় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন… তারপরের ঘটনা তো আপ্নারা জানেনই…
প্রায় ১৫ মিনিট পর ভাইয়া আমার ঠোট জোড়া ছাড়েন আমার ঠোট থেকে রক্ত পড়ছে এই লোকটা এতটা নিচু আমার ধারণা ছিলো না
আমি ফুপিয়ে কাঁদছি
হঠাৎই ভাইয়া ঠাস করে গালে থাপ্পড় দেয় যার কারণে আমি বিছানায় ছিটকে পড়ে যায়
ভাইয়া আমার চুলের মুঠি ধরে
—আহ ভাইয়া ছাড়ো
অয়নঃ খুব লাগছে না খুব তোর লজ্জা করে না ছেলেদের পেট দেখাতে খুব শখ না নিজের রুপ ছেলেদের দেখাতে???
রিমিঃ এইসব কি বলছো ভাইয়া হঠাৎ করেই ওড়নাটা সরে গিয়েছিলো তাই খেয়াল ছিলো না
অয়নঃএকদম মিথ্যে বলবিনা তোর মতো মেয়েদের না আমার খুব ভালো করে জানা আছে নিচে তুই আর যাবি না বুঝেছিস আর শুন এইসব কথা কাউকে বললে তোর রক্ষে থাকবে না মাইন্ড ইট ইডিয়েট
এই বলে ভাইয়া আমাকে ছেড়ে হনহন করে বেড়িয়ে গেলো
আমি আয়নায় গিয়ে ঠোটের দিকে তাকালাম অসম্ভব লাল হয়ে রয়েছে অনেক ফুলেও গিয়েছে আমি ফুপিয়ে কেঁদে উঠলাম লোকটার উপর ঘৃনা আমার আরো বেড়ে গেলো এতদিন শুধু চর থাপ্পড় আর অপমান করতো কিন্তু আজকে যেন সব কিছুর সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে লোকটা ছিহ।
শুধু অয়ন ভাইয়াই না আমার মামি আর নানুও আমাকে অনেক অপমান করে আসলে আমার জন্মের সময়ে মা মারা গিয়েছেন তাই তারা মনে করেন আমি আমার মাকে খেয়েছি কিন্তু আমার কাকাই কাকিমনি বা বাবা এইসব বিষয়ে কোনোদিন বিশ্বাস করে না তারা আমাকে অনেক আদর করে কাকিমনি আমাকে আর আমার বড় বোন কে নিজের সন্তানের মতো স্নেহ করেন আমার মামাও আমাকে ভালোবাসেন
আর অয়ন ভাইয়া কেন জানি আমাকে দেখতে পারে না হয়তো মামি আর নানুর জন্য কিন্তু আমার দিকে কেউ বাজে নজরে তাকালে তার যেমন রক্ষে নেই আমারো তেমন রক্ষে নেই
একবছর আমেরিকাতে ছিলো বিসনেজ এর কাজে মামাই পাঠিয়েছিলো
এই এক বছর অনেক শান্তিতে ছিলাম আবার এই খাটাশ টা চলে আসলো
ওয়াসরুমে সাওয়ার ছেড়ে কঁাদছি সত্যি আজকে অয়ন ভাইয়ার জন্য অনেক ঘৃনা হচ্ছে
….
অয়ন চৌধুরি বাবা মায়ের একমাত্র আদরের ছেলে চৌধুরি ইন্ডাস্ট্রির এমডি
ফর্সা চেহেরা খোঁচা দাঁড়ি চোখ গুলো অনেক মায়াবী মাত্রাধিক সুন্দর জিম করা বডি মেয়েদের ক্রাশ নিজের স্টাইল নিয়ে যথেস্ট সচেতন…
অনেকক্ষন কান্না করার ফলে আমার চোখ দুটো অসম্ভব লাল হয়ে রয়েছে লেহেঙ্গা টা চেঞ্জ করে একটি লং টপ্স পড়েছি ভেজা লম্বা চুলগুলো শরীরের সাথে লেপ্টে আছে মাথাটাও ভীষন ব্যাথা করছে
আজকে আমার সব আনন্দ অই খাটাশ টা শেষ করলো
কি আর করার বেড এ গিয়ে শুয়ে পরি
কিছুক্ষন এর মধ্যে ঘুমপরি আমার চোখ এ নেমে আসে আমিও ঘুমের দেশে চলে যায় রিমি ঘুমালে কেউ এসে রিমি চুলগুলো কপাল থেকে সরিয়ে কানে গুজে দেয় রিমির কপালে আস্তে করে ভালোবাসার স্পর্শ একেঁ দেয় রিমির কানে ফিসফিস করে বলে
—জানি ঘুমাচ্ছিস কিন্তু তাও বলবো মাফ করে দিস রিমিপরি তোকে কেউ বাজে নজরে দেখলে আমার মাথা ঠিক থাকে না
এই বলে সে চলে যায়
হঠাৎ অনুভব করি কেউ আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে
আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখি আমার মৌ আপু (আমার আপন বোন) আমার পাশে বসে আসে
রিমিঃ আরে আপু তুমি এখানে আজকে তোমার এন্গেজমেন্ট তুমি এখানে
মৌঃ আরে সবাই চলে গিয়েছে আর কয়জন আত্বীয় আছে তারাও কিছুক্ষন এর মধ্যে চলে যাবে চিন্তা করবি না তোকে আর দেখতে পারলাম না তখন অয়ন বলল তোর নাকি হঠাৎ মাথা ব্যাথা করছে তাই
রিমিঃ খাটাশ টা নিজে আমাকে না যায়তে বইলা এখন মিথ্যে কথা সাজাইতাছে(বিড়বিড় করে)
মৌঃ কি বিরবির করছিস?
রিমিঃ কই কিচ্ছু না তো একটু মাথা ব্যাথা করেছিলো তাই
মৌঃআচ্ছা আমার সাথে আয় কাকিমনি বলেছে খেতে
রিমিঃ আমার খেতে ইচ্ছে করছে না রে
মৌঃ এক্কেবারে দিবো কাকিমনি কি তোকে না খাইয়ে ছাড়বে রে??
রিমিঃ কিন্তু?
মৌঃ কোনো কিন্তু না চল
একপ্রকার জোড় করে আমাকে মৌ আপু নিচে নিয়ে গেলো নিচে গিয়ে দেখি
ড্রইং রুমে বাবা কাকাই আর মামারা গল্প করছে আর মিনি আর রিক ( আমার চাচাতো ভাই বোন) টিভি দেখছে মিনিটা এইবার ক্লাস ৮ এ আর রিক ১০ এ
আর খাটাশ অয়ন টা ফোন টিপতাছে আর এক মনে আপেল খাচ্ছে মনে হয়
আর বুড়িটা ( আমার নানি) আর হিটলার মামিটা আমার কাকি মনির সাথে গল্প করতাছে
আমাকে নীচে নামতে দেখে কাকিমনি বলেঃ
আরে রিমি মা আয় আয় একটু খেয়ে নে
আমি কাকিমনির কাছে গিয়ে গলা জড়িয়ে ধরে আহ্লাদি সুরে বলি
–তুমি খায়িয়ে দাও
কাকিমনিঃ আচ্ছা বস
নানিঃ এতো বড় মাইয়্যা হইছে এহনো খাওয়াইয়া দেওন লাগে আর আগে মাইয়্যারা এই বয়সে ১০ বাচ্ছা কাচ্ছার মা হয়তো
রিমিঃ তাহলে তোমার ২টা কেন বাকি ৮ টা কি তোমার হিটলার গিরি দেইখা বাইগা গেছে
আমার কথা শুনে অয়ন ভাইয়া সহ সবাই মিটমিট করে হাসছে শুধু হিটলার মামিটা ছাড়া
মামিমাঃ এইভাবে বড়দের সাথে কথা বলতে হয় যতসব অসভ্য
এই কথা টা শুনে বাবা আর কাকাইয়ের মুখে বিরক্তির ছাপ আর অয়ন সে তো আপন মনে আপেল খাচ্ছে
আমি কিছু বলতে যাবো
তার আগেই
।কাকিমনি থামিয়ে দিয়ে বলে
–এখন আর কোনো কথা না আয় খেতে আয় দেখি
আমিও আর কোনো কথা না বাড়িয়ে খেতে থাকি এইসব হিটলারদের সাথে কথা বাড়িয়ে লাভ নেই
আমি খাচ্ছি আর খেয়াল করছি অয়ন ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসছে
আমি তার দিকে ঘৃনার দৃস্টি নিক্ষেপ করলাম তা হয়তো সেও বুঝেছে
কথা বলবো না কোনো কথা না অনেক বাজে ছেলে আজ যা করলো তারপর তো আর কথাই নেই
আস্তে আস্তে সবাই চলে গেলো অয়ন ভাইয়ারাও চলে গিয়েছে
অয়ন ভাইয়াদের বাড়ি এখান থেকে ১০ মিনিট দূরে আমি বেশি যায় না কোনো কাজ না থাকলে যাবো কিভাবে অইখানে আমার মামা ছাড়া ছাড়া আমাকে কেউ দেখতে পারে না সেটাই ভালো করে বুঝতে পারি না
আমি আপন মনে বারান্দায় আমার দোলনায় বসে আছি আর ব্যাস্ত শহরটা কে দেখছে আমার বারান্দা টা অনেক ফুলের গাছ আমি অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছে আমার মন খারাপ থাকলে এখানে আসলেই আমার মন খারাপ দূর হয়ে।যায়
শত চেস্টা করেও আজকের ঘটনাকে ভুলে থাকতে পারছিনা কিভাবে পারবো অয়ন ভাইয়া যে এইরকম একটা কাজ করবে তা ভাবতেও পারি নি ঠোট দুটো এখনো ফুলে আছে তাই ডার্ক লিপ্সটিক দিয়েছি যাতে কেউ না বুঝে
হঠাৎ ফোনো একটা আননন বিদেশি নাম্বার থেকে কল আসে
আমি কি মনে করে যেন রিসিভ করি করার সাথে সাথে এক পরিচিত কন্ঠ ভেসে উঠে যে আমার সকল সুখ দুঃখীর সাথী
—রিমি পাখি আমি আসছি….
চলবে কি?
যারা আইডি ফলো না করে গল্প পরছেন নীল লেখায় চাপ দিয়ে আইডি ফলো করেন
MD Kawsur

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত



বিষয়: #  #  #  #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)