শনিবার ● ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানায় পুলিশ হেফাজতে আসামি মৃত্যুর ঘটনায় ৩ সদস্য তদন্ত কমিটির পরিদর্শন।।
হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানায় পুলিশ হেফাজতে আসামি মৃত্যুর ঘটনায় ৩ সদস্য তদন্ত কমিটির পরিদর্শন।।
আকিকুর রহমান রুমন: হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশের হেফাজতে আসামি রব্বানী(১৭) মৃত্যুর ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন এর গঠিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির কর্মকর্তাবৃন্দ সরেজমিনে নিহতের বাড়ি ও আটকের স্থান পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় নিহত রব্বানীর মা ফজর চান ও বড়বাজারের ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বলেছেন কর্মকর্তাবৃন্দ এই ৩ কর্মকর্তা।
শুক্রবার(২৯ ডিসেম্বর) বিকাল পৌনে টায় নিহত রব্বানীর বাড়ি বানিয়াচং উপজেলা সদরের ১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের বড়বাজার সংলগ্ন নাগেরখানা মহল্লায় আসেন হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অর্থ)হাসিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বানিয়াচং সার্কেল পলাশ রঞ্জন দে,কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো: কামরুল হোসেন প্রমূখ।
এসময় তদন্ত কমিটির লোকজন রব্বানীর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করে সংশ্লিষ্ট অপরাধী কে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে নিহতের পরিবারকে আস্বস্ত করেন।
এ সময় জেলা পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ নিহতের মা ফজর চানের নিকট থেকে জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
এবং পরবর্তীতে রব্বানীকে ২৬ ডিসেম্বর আটকের স্থান বড়বাজার মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ এলাকার ব্যাবসায়ীদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন তারা।
উল্লেখ্য,২৬ ডিসেম্বর বিকেলে বানিয়াচং থানার এসআই মনিরসহ সঙ্গীয় ফৌর্স নিয়ে রব্বানীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এবং এশারের আজানের সময় থানা পুলিশ রব্বানীকে একটি সিলিং ফ্যানের সাথে ফাশঁ দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান।
পরে তাকে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রব্বানীকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে হাসপাতালের টিএইচও ডাঃ শামীমা আক্তার জানান,থানা পুলিশ একজনকে নিয়ে এসেছিলেন রাতে কিন্তু হাসপাতালে আনার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে নিহত রব্বানীর মা ও তার ভাইয়ের দাবি রব্বানীকে মারপিট করে পুলিশ হত্যা করেছে।
বিষয়: #থানা #বানিয়াচং #হবিগঞ্জ