শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

Somoy Channel
মঙ্গলবার ● ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » সাহিত্য রম্যগল্প » সত্যতা
প্রথম পাতা » সাহিত্য রম্যগল্প » সত্যতা
১১২ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সত্যতা

সত্যতাবাড়িতে আসার সাথে সাথেই গোসল করিস কেন তুই বউ? তোর কাজটা কি এমন!
দুপুর সন্ধ্যা যে সময় বাড়িতে আসিস আগে সোজা কলপাড়ে গিয়ে গোসল করতে হয়। আমি জানতে চাইলে নানান অজুহাত এ প্রসঙ্গ বদলায় ফেলিস। আমি কিন্তু কিছু বুঝতে পারছি না তুই কি করিস বাইরে৷ কই যাস, কি করিস এতো টাকা কোথায় থেকে আসে? আমার চিকিৎসার জন্য এতো টাকা কই পাচ্ছিস তুই? আজ সত্যি টা জানতে হবে আমার, বল তুই আমায়।
অসমি মাথা নিচু করে চুপ থাকে।
তার স্বামী জোরে চিৎকার করে উঠে আজ এই সব কথার জবাব চায় সে, না হলে রাতের খাবার খাবে না সে সাথে ঔষধ ও।
অসমি সন্ধ্যার পর বাড়িতে ফিরে গোসল সেরে, ঘরে আসলে তাকে জেঁকে বসে বিপ্লব (তার স্বামী)।
কি উত্তর দেবে অসমি সেটা ভাবতে ভাবতে কিছুক্ষণ চুপ থাকে। পরক্ষণেই রাগে গরগর করে অসমি আর বলে এতো দিন থেকে বিছানায় পরে আছেন আমি যে আপনার দেখাশোনা করার জন্য পরে আছি এখানে নিজের সুখ-দুঃখ ভুলে। কষ্ট করে রোজগার করে আপনার খাওয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি সেটা কি সহ্য হচ্ছে না আপনার? বলেছি তো কাপড় কাটার কাজ করি একটা দোকানে, সে-তো আর আপনার বিশ্বাস এ আসে না।
এখন এগুলোর জবাব দেন আমাকে, এটাও বলেন আমি না থাকলে আপনার কি হবে, কে দেখবে আপনাকে? উপায় খুঁজে না পেয়ে অসমি তার স্বামীর দূর্বল জায়গায় আঘাত করেছে।
সত্যি তো, অসমি ছাড়া বিপ্লব এর এই পৃথিবীতে কেউ নেই। তবুও বিপ্লব অসুস্থ অচল এই কথা বলে আঘাত করেছে অসমি বিপ্লব কে তারজন্য দুঃখ টা রাগে পরিণত হয়ে যায় বিপ্লবের। পাশে থাকা স্টিল এর মগ টা হাতে নিয়ে সজোরে ছুঁড়ে মারে অসমির দিকে। পিঠে গিয়ে ঠেকে মগটা অসমির, হালকা আর্তনাদ করে চুপ হয়ে যায় মেয়েটা। এখন দু’জন দু’জনার দিকে চেয়ে আছে, কিন্তু কোনো কথা বলছে না।
অসমি রান্নাঘর ঢুকে রাতের খাবার তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বিপ্লব এর পছন্দের খাবার খিচুড়ি রান্না করে আজ সে।
বিপ্লব অনেক শান্ত মেজাজ এর ছেলে, ধৈর্য ক্ষমতা অনেক বেশি তার। কিন্তু ইদানীং বউয়ের আচরণ তার ভালো ঠেকছে না৷ আশেপাশের মানুষজন বাড়িতে এসে বসে নানান কথা বলে যায়। বিপ্লব তুই শয্যাশায়ী হয়ে তোর বউটা খারাপ হয়ে গেলো রে। এ পাড়ায় কাজ নাই, কাজের জন্য বাজার পার হয়ে শহরের দিকে যাইতে হয় তার, বুঝতে পারছিস কাজটা কি।
আজ প্রতিবেশী চাচীর এমন কথা শুনে বিপ্লবের মাথায় রক্ত উঠে যায়। কিন্তু, অসমি তো ব্যাপার টা কৌশলে এড়ায় গেলো। না না এভাবে ছাড় দেওয়া উচিত হবে না।
বিপ্লব ভীষণ রাগ হয়ে চিৎকার করতে থাকে আসমানী আসমানী বলে। আসমানী নাম শুনে চমকে উঠে অসমি, আসলে নিজের সত্যি নামটা ভুলতে বসেছে সে। ভালোবেসে বিপ্লব সবসময় আসমানী কে অসমি বলে ডাকে। তাড়াতাড়ি বিপ্লবের কাছে আসে অসমি, জানতে চায় কি লাগবে।
বিপ্লবের এক কথা,সত্যি টা জানতে চায় সে। তার বউ রোজ কোথায় যায়?
সে কোনো খারাপ কাজে নিজেকে বিক্রি করে দেয় নি তো!
– দেখেন আপনি যা ভাবছেন তা ভুল, অযথা আমাকে ভুল বুঝতেছেন আপনি। মানুষ তো নিজেকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে তাই না, এই আমি নিজেকে ছুঁয়ে ওয়াদা করছি আমি এমন কোনো কাজ করছি না যেটাতে আমার এবং আমার স্বামীর সম্মান নষ্ট হয়।
বিপ্লব একটু শান্ত হয়, নিজেকে ছুঁয়ে কেউতো মিথ্যা কথা বলতে পারে না এটা সে ছোট কাল থেকে জেনে আসছে।
স্বাভাবিক ভাবে দু’জনে রাতের খাবার খাওয়া শেষ করে বিছানায় ঘুমোতে যায়। চার মাস আগে এক ট্রাক এ্যাকসিডেন্ট এর পর থেকে বিপ্লব শয্যাশয়ী, পা ভেঙে গেছে। পায়ের ভিতরে লোহার রড সাপোর্ট হিসেবে দেওয়া আছে। পুনরায় অপারেশন করে সেই রড বের করলে বিপ্লব আবার আগের মতো চলাফেরা করতে পারবে বলে ডাক্তার আশ্বাস দিয়েছে।
কিন্তু তারা দিনে আনে দিনে খায়, ছোট একটা মুদির দোকান চালাতো বিপ্লব বাজারে ভাড়া নিয়ে। তার অসুস্থতার জন্য সেটা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভাড়া বাকি ছিলো অনেক। তার অবস্থা দেখে দোকানের মালিক আর ভাড়ার টাকা নেয় নাই। শুধু বলেছে সুস্থ হয়ে যেনো আবার ফিরে আসে দোকানে।
বউ ও বউ, কাছে আয় তোকে জড়ায় না ধরলে আমার ঘুম আসে না যে। অসমি ছোট্ট বাচ্চার মতো বিপ্লবের কোলের ভিতরে নিজের জায়গা করে নেয়।
ফুলের মতো সাজানো সুন্দর জীবন টা তাদের অকালে নষ্ট হতে চলেছে। অসমির চোখ ভর্তি পানি এতো সহজে সে হাল ছাড়বার মেয়ে নয়। যেভাবেই হোক না কেনো নিজের স্বামীকে সে সুস্থ করে তুলবেই।
তার স্বামীর যেমন এ পৃথিবীতে সে ছাড়া কেউ নেই, তেমনি তারও কেউ নাই। তারা দু’জন দু’জনার।
ফজরে ঘুম থেকে উঠে অসমি নামাজ পড়ে, বিপ্লবের জন্য চা-নাস্তা জোগাড় করে খাইয়ে দেয় তাকে। হাতের কাছে প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র শুকনা খাবার ও পানি রেখে চেয়ারে বসায় বিপ্লব কে তারপর আটটা নাগাদ কাজে চলে যায়।
অসমির চলে যাওয়ার পথে চেয়ে থাকে বিপ্লব, খুব খারাপ লাগে তার এই পঙ্গুত্ব। অসহায়ের মতো জীবনযাপন করতে, বউয়ের কষ্টের টাকায় দিনগুজরাতে একা একা বসে শুয়ে থাকতে।
পাড়া প্রতিবেশীর কথায় কান দেয়না এখন বিপ্লব, তার অসমির প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস আছে। কিন্তু কাপড় কেটে তো হাজার হাজার টাকা আয় করা যাবে না, এনিয়ে খটকা বিপ্লবের মনে। অসমিকে জিজ্ঞেস করবে তারও সময় পায় না, আসলে অসমির ওই মায়া ভরা মুখটা দেখলে সবকিছু ভুলে যায় সে। ভুলে যাওয়ার স্বাভাবিক, তার মায়াভরা ডাগরডোগর আঁখি যুগল দেখলে বিপ্লবের আর কিছু মনে থাকে না।
বিপ্লব শোন, আজ দেখলাম তোর বউ শহরের নামকরা একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অনেক গুলো টাকা নিলো হেসে হেসে । কোন কাজের জন্য মানুষ এত টাকা মানুষকে দেয় জানিস কি তুই?
শুধু আমি না আমার নাতিডাও দেখছে সে কি কান্ড। তুই এ খারাপ মেয়ে মানুষটাকে ছাইড়া দে, জগতে মাইয়ার অভাব নাই। আর তুই মনে হয় এটাও জানিস না রোজ এক ভ্যানগাড়ি আইসা, তোর বউরে নিয়ে যায় আবার সেই ভ্যান এ দিয়ে যায়।
প্রতিবেশী রহিমা চাচী আজও অনেক কথা বলে গেলো। বিপ্লব সব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইলেও পারছে না।
আজ দুপুরে অসমি পর পর কয়েকবার বমি করতে থাকলে তার সন্দেহ দ্বিগুণ হয়। কারণ স্বামী-স্ত্রীর মেলামেশা এখন তাদের নিষিদ্ধ ডাক্তারি মতে।
বিপ্লবের মন চাচ্ছে এই মুহূর্তে উঠে গিয়ে অসমি কে পিটিয়ে তক্তা বানাতে। রহিমা চাচী তাহলে আজ সব সত্যি কথাই বলছে।
এমন চরিত্রহীন নারীর সাথে সংসার করা হারাম, তার মুখ দেখাও পাপ। কিন্তু কি করবে সে তার তো উঠে দাঁড়ানোর শক্তি নেই এখন। আল্লাহ কেন যে তাকে এতো বড় বিপদে ফেললো। আর সে শারীরিকভাবে অসুস্থ বলে, বউ তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। প্রয়োজন নেই তার এমন বউয়ের। এরচেয়ে সে একা একা পরে থেকে মরবে তবুও বউয়ের হাতের এক গ্লাস পানিও খাবে না।
সন্ধ্যায় অসমি স্বামীর টুকটাক কাজ করে চুলায় রান্না চাপায় দেয়। তার রোজকার নিয়ম সকালে ঘর গুছানোর সাথে বিপ্লব কে ঠিকমতো খাবার খাইয়ে ঔষধ খাওয়ানো ও ভাত রান্না করে কাজে যাওয়া।
ঠিক দুপুর বারোটা নাগাদ এসে গোসল সেরে তরকারি রান্না করে দুজনে একসাথে খায়। তারপর আবার কাজে যায় অসমি আবার ফিরে আসে সন্ধ্যায়, এসেই গোসল করে আবারও।
.
অসমির সারাদিনের কাজকর্ম দেখলেই তো যে কেউ বলে দিতে পারবে সে কি কাজ করে বাইরে।
কষ্ট, যন্ত্রণায়, অপমানে বিপ্লব কেঁদে ফেলে। অসমি ঘরে আসার আগেই চোখের পানি মুছে স্বাভাবিক হয়ে যায়।
– একি! আপনি কাঁদছিলেন কেনো?
– ও কিছুনা, পা ব্যথা করছিলো তাই।
– কি বলেন, খুব ব্যথা করছে ডাক্তার ডাকবো বলেন?
– না তার প্রয়োজন হবে না, ডাক্তার আসলেই তো হাজার টাকা গুনে নিয়ে যাবে এই দরিদ্র মানুষের থেকে।
অবশ্য বিপ্লব এর সময় কিছু টাকা কম নিয়েছিলো হাসপাতাল কতৃপক্ষ ও ডাক্তার। তবুও ঋণের সমুদ্রে ডুবে আছে তারা, এক পয়সাও জমানো ছিলো না বিপ্লবের। যত খাটাখাটুনি দৌড়াদৌড়ি সব অসমি করেছে। দোকানের সব জিনিস বিক্রি করে দেয়, অসমির একটা সোনার রিং ছিলো সেটাও বিক্রি করে। তবুও কুলচ্ছিলো না টাকায়। মানুষের দ্বারে হাত পাতা কিংবা ভিক্ষা করা শেখে নাই বিপ্লব ও অসমি। তাই কারও দয়ায় বাঁচতে চায়নি বিপ্লব। তখন মোটা অঙ্কের টাকা চড়া সুদে ঋণ নেয় তারা।
এখন সেই ঋণ শোধ এবং স্বামীর চিকিৎসার জন্য হাল ধরেছে অসমি নিজে।
– আসমানী একটু আগে বমি করলি কি কারণে?
– আমার পেটে ব্যথা করছে সকাল থেকে, খাওয়ার সমস্যা হয়েছে মনে হয়। অসমির এই কথা টা মিথ্যা।
আর বিপ্লব মুখে বিশ্বাস করলেও মনে মনে বিশ্বাস করলো না।
রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পরে তারা। আজ আর অসমিকে কাছে ডাকে না বিপ্লব, নিজে থেকে স্বামীকে জড়িয়ে ঘুমায় মেয়েটা।
.
আগেই বলেছিলাম বিপ্লব শান্ত ছেলে, তাই সে নিজের মাথা ঠান্ডা রাখে। পরিকল্পনা করতে থাকে কিভাবে সে জানতে পারবে যে অসমি কি কাজ করে।
পরের দিন অসমি কাজে যায়, দুপুরে ফিরলে বিপ্লব তাকে বলে,
– অসমি, আজ গাড়ি করে একটা লোক এসে তোর খোঁজ করছিলো। আর কিসের জন্য যেনো অগ্রীম টাকা দেওয়ার কথা বলছিলো। কে সেই লোকটা?
– অসমি থতমত খেয়ে বলে, কে আসবে আমার তো সেরকম কাজের জন্য পরিচিত কোনো লোক নেই, যে গাড়ি করে বাড়ি বয়ে আসবে। আপনি সত্যি বলছেন তো নাকি স্বপ্ন দেখলেন এমনটা।
– আমি মিথ্যা বলি না, হারামী তুই রোজ কই যাস আর এতো টাকা আনিস। মানুষ এতো টাকা তোকে মাগনা মাগনা তোর মুখ দেখে দেয় নাকি?
বিপ্লবের ব্যবহারে অসমি কেঁদে ফেলে এবং বাহিরে চলে যায়। বিপ্লব পরক্ষণেই শান্ত হয়ে বুঝতে পারে এই মিথ্যা কৌশল টা কাজে লাগলো না তার। অন্য ভাবে এগুতে হবে। আর অসমির সাথে আপাতত খুব ভালো ব্যবহার করতে হবে। সত্যি টা জানতে হলে আমায় অনেক ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে।
– রহিমা চাচী আপনি সত্যি কথাই বলতেন, শুরুতে আমি বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু এখন ওই চরিত্রহীনার সব কাজকর্মে আমি প্রমাণ পাইছি। কিন্তু আমি নিজের চোখে দেখতে চাই অসমি কোথায় যায়, কি করে। এজন্য আপনার সাহায্য প্রয়োজন আমার চাচী।
পান সুপারি খেতে খেতে লাল কালো হয়ে যাওয়া দাঁত গুলো বের করে বিদঘুটে ভাবে হাসে রহিমা বেগম।
– বাজান, এবার তো আমার কথা বিশ্বাস হইলো। এই রহিমা বেগম কখনো ভুল কিছু বলে না। এর বহুত প্রমাণ আছে বহুত। তুমি টেনশন কইরো না, আমি সব ব্যবস্থা করবো নিজে।
– তবে চাচী একটা কথা, এই কথা যেনো আশেপাশের আর কেউ জানতে না পারে। মানে আমাদের এই গোয়েন্দা অভিযানের কথা।
– না জানার কি আছে, পাড়াপড়শি সকলে ছি ছি করতেছে। বলছে বিপ্লবের বউটা শেষ নষ্ট হয়ে গেছে।
– তবুও চাচী এ কথা যেনো তিন কান না হয়, আমি কিন্তু কাজ শেষ হলে তোমাকে ভালো একটা শাড়ি কিনে দিবো।
শাড়ির কথা শুনে রহিমা বেগমের লোভ হয়।
আচ্ছা বাজান কেউ জানতে পারবো না শুধু তুমি আর আমি।
রহিমা বেগম গোপনে অসমির পিছু নেয়, টানা তিনদিন পর জানতে পারে অসমি কোথায় কাজ করে।
পথ হারিয়ে ফেলতো রহিমার নাতি টা সে ভ্যান চালক, নতুন শিখেছে। ভালোই আয় করে ভ্যান চালিয়ে।
জানতে পেরে রহিমা ছুটে এসে খবর দেয় বিপ্লব কে।
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পরেরদিন তারা তিনজন সেই কাজের জায়গায় যাবে। বিপ্লব মানসিক ভাবে নিজেকে তৈরি করতে থাকে। তবুও তার মনটা খচখচ করে, তার অসমি কি এমন কাজ করতে পারে।ছোট বেলা থেকে ভালোবাসে তারা দু’জন দুজনকে।
অনেক সন্দেহ চোখের সামনে কিন্তু মানুষের চোখের দেখারও ভুল থাকতে পারে। তবে অসমির ব্যাপারটা চোখে না দেখে বলা যাচ্ছে না কিছু। রহিমা চাচীর বর্ণনায় আর পরিস্কার হয়েছে অনেকটা অসমি আসলে কি কাজ করে।
পরিকল্পনা অনুসারে, পরের দিন তারা তৈরি হয়। বিপ্লব কে ভ্যানে তুলতে কষ্ট হওয়ায় পাশের দোকানের দুটো ছেলের সাহায্য নেয় তারা।
এতে করে বিপ্লব সামান্য আঘাত পায় পায়ে। সে যাই হোক এ সত্যি জানার চেয়ে তার পায়ের ব্যথা বেশি হতে পারে না। আজ যদি তার জীবনও বের হয়ে যায়, তবুও সে সত্যি টা উদঘাটন করেই ছাড়বে।
বিপদের সময়ে মনে হয় বিপদ বাড়ে, হলো তাই ভ্যানের চাকা নষ্ট হলো মাঝপথে সেটা সারাতে আধঘন্টা সময় লেগে গেলো। এগারোটা নাগাদ তারা অসমির কাজের জায়গায় এসে পৌঁছায়।
–বিশাল তিনতলা বিশিষ্ট বাড়ি, সামনে বিরাট গেট এই বাড়িতে কাজ করে অসমি তুমি ঠিক দেখেছো চাচী?
–হরে বাজান আমি দুই চক্ষু দিয়া দেখছি এই বাড়ির ভিতরে সে যায় সকালে আবার দুপরের আগে ফিরে আসে। ওই যে ভ্যান খাঁড়ায় আছে সেটায় করে অসমি আসা যাওয়া করে, অনেক বড় বড়,সাহেব রাও আসে এ বাড়িতে আমি খোঁজ নিয়া জানছি।
বাড়ি দেখে সত্যি টা কি বিপ্লবের আর বুঝতে বাকি রইলো না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত



বিষয়: #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)