শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Somoy Channel
শুক্রবার ● ২২ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » সাহিত্য রম্যগল্প » গল্পঃবাসর রাত পর্ব_০২
প্রথম পাতা » সাহিত্য রম্যগল্প » গল্পঃবাসর রাত পর্ব_০২
২৮১ বার পঠিত
শুক্রবার ● ২২ ডিসেম্বর ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

গল্পঃবাসর রাত পর্ব_০২

গল্পঃবাসর রাত পর্ব_০২(১৮+ এলার্ট), সোহান বড়লোক বাবার একমাএ ছেলে।টাকার কারনে এলাকার বড় ভাই হিসেবে সবাই তাকে চিনে।এবার সে অনার্স ৩ বর্ষের ছাএ।আর চারু হলো সাধারন পরিবারের মেয়ে।দেখতে বেশ সুন্দর।এবার অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্তী।তারা দুজন একসাথেই একই ভার্সিটিতে পড়াশোনা করে।সোহান চারুকে সেই ছোটবেলা থেকেই ভালোবাসে কিন্তু কখনো চারুকে বলতে পারিনি।কারন চারু মাস্তান আর বড়লোকদের পছন্দ করতো না।সে সোহানের হাবভাব আর প্রতিদিন পিছু করাতে সব টের পেত কিন্তু কোনদিন সোহানকে কিছু বলেনি।কিন্তু সোহান জানতে পারে যে, চারুর পরিবার চারুকে জোড় করে বিয়ে দিচ্ছে তাও কাউকে না জানিয়ে।সোহান সেটা শুনে ঠিক থাকতে পারেনি আর থাকবেই কেমন করে?যে মেয়েটাকে এতোদিন ধরে ভালোবাসে তাকে কি ছেড়ে দেওয়া যাই।তাই সে বন্ধুদেরকে দিয়ে চারুর বরকে মারধর করে গোপনে চারুকে নিয়ে এসেছে।চারু টের পাইনি কারন দুজনের নামই সোহান।সে চারুকে নিয়ে হোটেলে নিয়ে এসেছে রেপ করে যাতে চারুর পরিবার শেষ পর্যন্ত তার সাথেই চারুকে বিয়ে দেই।
এর আগের ঘটনা সবার জানা তাই চলুন আবার ফিরে যাই,,
সোহানের ড্রাইভার চারুকে তার বাড়ির সামনে নামিয়ে দেই।চারু গাড়ি থেকে নেমে দেখে বাড়িতে
কোনো আওয়াজ নেই।চারু বাড়িতে ঢুকে পড়ে।গিয়ে দেখে তার মা বাবা কাদছে সবাই মাথাই হাত দিয়ে বসে আছে।হটাৎ চারুকে দেখে সবাই দাড়িয়ে পড়ে।চারুর মা চারুর কাছে যেতেই,,
— মা তুমি নাকি অনেক অসুস্থ?
— কে বলেছে?আর তুই এতক্ষন কোথাই ছিলি?
—কোথাই আবার আমিতো আমার বরের সাথেই ছিলাম?
— কি কিন্তু তোর বর তো হাসপাতালে?
— কি বলছো এসব?সোহান তো এতক্ষন আমার সাথেই হোটেলে ছিলো?
— কে কোন সোহান?
— কে আবার ওইযে আমাদের চৌধুরির ছেলে?
চারু মা বাবা আর সবাই এ কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো।চারুর মা আবার কান্না শুরু করে দিলো।প্রতিবেশিরা সবাই চলে যেতে লাগলো।তখনি চারুর বোন চারুকে নিয়ে ঘরে চলে যাই,,
— এই চারু তুই কি বলছিছ?সোহান কেন তোর সাথে যাবে?
— কি বলছো তোমরা?আমার বর তো আমার সাথেই থাকবে।
— কখন তোকে সোহান নিয়ে গিয়েছে?
— কখন আবার আমাকে তোমরা বাইরে গাড়িতে যখন উঠিয়ে নিলে?
— আচ্ছা ও তোকে তো কিছু করেনি?
— বুবু ও তো আমার********??
— কি ও তোকে ভোখ করেছে?
— কেন বর আবার এসব করবে কেন?এটা তো বাসর রাতে সবারি হয়।
— এই পাগল ও তোর বর না।ও তোকে ব্যবহার করেছে।
এটা বলে চারুর বোন চারুর সামনে একটা ছবি রেখে বলে., চারু এটা তোর আসল বর।
চারুর বোনের হাতের ছবি দেখে চারু কিছুটা চমকে গিয়ে পিছিয়ে যাই।সে কি দেখছে এটাতো সোহান না।চারুর চোখ দিয়ে অনায়াসে জল পড়তে থাকলো।চারুর বোন চারুকে ছুতেই এক ঝটকা দিয়ে হাতটা সরিয়ে দিয়ে কাপড় খুলে ওয়াশরুমের দিকে কাদতে কাদতে দৌড় দেই।পানি ছেড়ে দিয়ে সাবান দিয়ে নিজেকে ধোয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু কেন যেন সোহানের স্পর্শের কলক্যের দাকটা আরো গেথে যাচ্ছে চারু শরিরে।
ওদিকে সোহান রুমে গিয়ে এক গ্লাস জল খেতে গিয়ে গ্লাসটা পড়ে গিয়ে ভেঙে গেলো।সে বিছানার উপর বসে মাথাই হাত দিয়ে বালিশে মাথা রাখলো।তার মন তাকে সায় দিচ্ছেনা।সে এভাবে চারুকে বিয়ের রাতে ধর্ষন করে ঠিক করেনি কিন্তু কি বা করার ছিলো?সে চারুকে কখনোই ভুলতে পারেনি।
সে সোজা তার বাবাকে গিয়ে সব বলে দেই।তার বাবা এসব শুনে চুপ করে বসে থাকে।হটাৎ দরজাই কড়া নড়লো সোহান কিছুটা আন্দাজ করতে পেরে আড়ালে চলে গেলো।দরজা খুলতেই দেখলো চারুর মা আর বাবা চোখে পানি নিয়ে হাত জোর করে তার বাবার সামনে বসে পড়লো।
— কি হয়েছে তোমরা এতো রাতে এখানে?
— স্যার আমার মেয়ের সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে? (কেদে কেদে)
— কি হয়েছে সেটা বলো?
— স্যার আমার মেয়েকে বিয়ের আসর থেকে নিয়ে গিয়ে আপনার ছেলে.*******?(কেদে কেদে)
এই বেপার আচ্ছা কখন ঘটেছে ঘটনা?
*************?
শুনো চারুর বাবা?কিছু জানাজানি হবার আগেই তুমি বাড়িতে চলে যাও।কালকে কাজি ঢেকে আমি এদের বিয়ের সব ব্যবস্থা পাকা করছি।
চারু মা বাবা একথা শুনে কিছুটা অবাক হলেন।তবে চৌধুরি বাড়ির বউ হবে এটা শুনে অনেক খুশি হলো।চারু মা বাবাকে তার বাবা খুফ আদরের সাথে বাড়ি পাঠিয়ে দিলো।সোহান আড়াল থেকে আসতেই তার বাবা একটা মুচকি হাসি দিয়ে অল দ্যা বেষ্ট বলে চলে গেলো।
সোহান খুশি হয়ে রুমে চলে গেলো কিন্তু তার চিন্তা হলো চারু কি তাকে মেনে নিবে?চারু যেরকম মেয়ে তাতে সে কখনোই মেনে নিবেনা।বিছানাই মাথা দিয়ে এসব ভাবতে ভাবতে কখন যেন ঘুমিয়ে গেলো।
অন্যদিকে চারু ১ ঘন্টা ধরে গোসল করার পর চোখের পানি নিয়ে বের হয়ে এলো।সে এখনো ভাবতে পারছে না যে, সে একটা নষ্ট মেয়ে।আয়নার সামনে গিয়ে নিজের দিকে তাকাতে লজ্জা হচ্ছিলো চারুর।সে ভাবতেই পারেনি সোহান এভাবে তাকে ধোকা দিবে।সে তো সোহানকে অনেক ভালোবাসতো তাহলে সে এটা করলো কিভাবে।চারু ঘরের এককোনে বসে নিজেকে ঢেকে চুপ মেরে বসে চোখের জল ফেলছে।রাতে না খেয়েই সারারাত কাটিয়ে দিলো।
চারুর মা বাবা বাসায় ফিরে আসলো তাদের মুখে রয়েছে হাসির রেখা।
চারুর মা তখন চারুর রুমের দিকে এগোলো চারুকে খবরটা জানাতে।চারু ভুল করে দরজাটা লক করতে ভুলে যাই আর তখনি চারুর মা রুমে ঢুকে একটা চিৎকার দেই,,
চলবে,,,,,,,,,,
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত



বিষয়: #  #  #  #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)