বৃহস্পতিবার ● ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » ধর্ম » গোলাপগঞ্জ ভাদেশ্বর পশ্চিমটিলা ইসলামী তরুণ সংঘের তাফসীর সম্পন্ন
গোলাপগঞ্জ ভাদেশ্বর পশ্চিমটিলা ইসলামী তরুণ সংঘের তাফসীর সম্পন্ন
” ধৈর্য্য, প্রজ্ঞা ও যুক্তি-প্রমাণ সহকারে
ইসলামের সৌন্দর্য তুলে ধরতে হবে ”
-মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার বলেছেন, ধৈর্য্য, প্রজ্ঞা ও যুক্তি-প্রমাণ সহকারে ইসলামের সৌন্দর্য তুলে ধরতে হবে। বাস্তব প্রতিচ্ছবি হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে। নামাজ প্রতিষ্ঠা, গোপনে ও প্রকাশ্যে দান করা এবং ভালো দিয়ে মন্দকে দূরীভূত করার চর্চায় অভ্যস্ত হওয়া উচিৎ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সূরা আর-রাদের বাইশ নম্বর আয়াতে জানিয়ে দিয়েছেন, যারা তাদের রবের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সবর করে, সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদের যে রিয্ক প্রদান করেছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে এবং ভাল কাজের মাধ্যমে মন্দকে দূর করে, তাদের জন্যই রয়েছে আখিরাতের শুভ পরিণাম।
তিনি মঙ্গলবার রাতে গোলাপগঞ্জের ভাদেশ্বর পশ্চিম টিলা ইসলামী তরুণ সংঘ আয়োজিত তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে প্রধান বক্তার বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। প্রবীণ আলেমেদ্বীন মাওলানা আব্দুল মতীন চৌধুরী ও আলহাজ্ব আহমদ আলীর সভাপতিত্বে এবং বাবুল আহমদের পরিচালনায় তাফসীর পেশ করেন মুফতি মাওলানা নোমান কাসেমী, মাওলানা আব্দুল মালিক ইসলাহী ও মুফতি বশির আহমদ।
শায়খুল হাদীস মাওলানা শাফিউর রহমান (রাহ.), মাওলানা আমিনুল ইসলাম (রাহ.), মরহুম আব্দুল হেকিম, ভাদেশ্বর পশ্চিমটিলা গ্রামের মরহুম আনসার আহমদ, মরহুম আসাদ আহমদ ও মরহুম আবু মিয়া স্মরণে অনুষ্ঠিত দোয়া ও বাৎসরিক তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে আমন্ত্রিত উলামায়ে কেরাম হিসেবে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আব্দুল আহাদ, হাফিজ মাওলানা আব্দুল বাছিত, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, হাফিজ মাওলানা আব্দুস সোবহান, হাফিজ মাওলানা মুহিবুর রহমান, মাওলানা লোকমান আহমদ, মাওলানা নুরুল ইসলাম, হাফিজ মাওলানা এনামুল হক ও মাওলানা তারেকুল ইসলাম প্রমুখ।
মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার তাফসীর পেশ করতে গিয়ে আরও বলেন, বিপদ, মুসিবত, দুঃখ-কষ্টে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। তিনিই সাহায্য ও বিজয় দান করেন। ওলী-আউলিয়াদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কাছে চাওয়া শিরকের মতো অপরাধের দিকে ধাবিত করে। হযরত আনাস ইবনু মালিক (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন: ‘‘সবচেয়ে বড় কবীরা গোনাহ হলো আল্লাহর সাথে শিরক করা, মানুষ হত্যা করা, পিতামাতার অবাধ্যতা করা এবং মিথ্যা কথা বলা বা মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া।’’
বিষয়: #ইসলামী #গোলাপগঞ্জ #পশ্চিমটিলা #ভাদেশ্বর