বৃহস্পতিবার ● ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » রেসিপি » শীতে নানা রোগ মোকাবিলা করবে গুড়ের চা
শীতে নানা রোগ মোকাবিলা করবে গুড়ের চা
দিনে একবার চা না হলে অনেকেরই চলে না । সকাল ঘুম থেকে ওঠার পর ও বিকালের আড্ডায় চা ছাড়া যেন সিনের পূর্ণতা পায় না।। কেউ কেউ আবার দিনে চার থেকে পাঁচ কাপ চা পান করেন। শীতকালে এই সংখ্যা বেড়ে যায়। কিন্তু অধিক পরিমাণে চা পান অস্বাস্থ্যকর। ক্যাফেইন ও চিনির কারণে অধিক পরিমাণে চা পান করলে শরীরের নানা ক্ষতি হতে পারে।
তবে শীতকালে চায়ে চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করতে পারেন। এতে চিনির ক্ষতির পরিবর্তে গুড়ে তা স্বাস্থ্যোপযোগী হয়ে ওঠে। আবার নানা রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে গুড়ের চা।
গুড়ে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং বি, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, সুক্রোজ, গ্লুকোজ, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও মিনারেল থাকে। তাই গুড়ের চা পান করলে হাড় মজবুত হয়। আবার গুড়ের চায়ে কিছু আয়ুর্বেদিক উপাদান মেশালে তা আরও উপকারী হয়। আবার গুড় শরীরের পক্ষে গরম, তাই শীতকালে গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
চলুন জেনে নেই গুড়ের চা পান করার উপকারিতা-
১. গুড়ের চা পান করলে পরিপাক তন্ত্র সুস্থ থাকে। পাশাপাশি বুক জ্বালার সমস্যাও কমে। এছাড়া গুড়ে কৃত্রিম সুইটনার কমই থাকে। চিনির তুলনায় এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল থাকে, তাই শীতকালে গুড়ের চা পান করা উপকারী।
২. গুড় গরম প্রকৃতির হয়। এটি শরীর যেমন গরম রাখে, তেমনই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। শীতের সময় গুড়ের চা পান করলে সর্দি ও কফ উপশম হয় । গুড়ের চায়ে আদা, গোলমরিচ ও তুলসি পাতা দিয়ে পান করুন। এতে চায়ের স্বাদ যেমন বাড়ে তেমন উপকারও পাওয়া যায়।
৩. ক্লান্তি দূর করতে গুড়ের চা পান করুন। এই চা শক্তি প্রদান করে এবং নানা অভাব দূর করে।
৪. গুড়ের চা ভালো ডিটক্সের কাজ করে। যাদের গলা ও ফুসফুসে বার বার সংক্রমণ হয় তারা এই চা পান করলে উপকার পেতে পারেন।
৫. মাইগ্রেন বা মাথা ব্যথার সমস্যা থাকলে গরুর দুধে দিয়ে গুড়ের চা মিশিয়ে পান করুন, উপকার পাবেন।
৬. রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করতে গুড় খাওয়া বা এর চা বানিয়ে পান করলে এই সমস্যা দূর হয়। কারণ গুড়ে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, যা রক্তের অভাব দূর কর
৭. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে গুড়ের চা।
৮. পিরিয়ডের সময় ব্যথা হলে গুড়ের চা পান করতে পারেন। এর ফলে ব্যথা কম হয়।
৯. পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে গুড়ের চা। খাবার পর এক টুকরা গুড় খাওয়া উচিত। এতে হজমের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়।
১০. গুড়ের চা ফ্যাট কম করতে সাহায্য করে। এটি ওজন কম করে। চিনির তুলনায় গুড়ে ক্যালোরি কম থাকে, এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
১১. গুড়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস থাকে। এছাড়াও গুড়ের চা পান করলে হাড় মজবুত হয়। প্রতিদিন গুড় খেলে খনিজের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
গুড়ের চা বানানোর পদ্ধতি
একটি পাত্রে পানি দিয়ে তা ফুটিয়ে নিন। তার পর তাতে গুড় মেশান। এর পাশাপাশি এতে গোলমরিচ, লবঙ্গ, এলাচ, আদা ও তুলসি পাতা দিন। কিছুক্ষণ ফুটিয়ে এতে চা পাতা মিশিয়ে দিন। তার পর ছেকে নিতে হবে। দুধ ছাড়া এই চা পান করা উচিত।
বিষয়: #গুড় #চা #নানা #মোকাবিলা #রোগ #শীত