বৃহস্পতিবার ● ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » সাহিত্য রম্যগল্প » অসমাপ্ত
অসমাপ্ত
—গর্ভবতী হয়েছি আমি? এখন তোমার ঘরের বউ করে নাও। (মেয়ে)
—এখন কোন ভাবেই সম্ভব না। সময় হোক অবশ্যই বউ সেজে আনবো। (ছেলে)
—৩ মাস চলতেছে। আর কিছুদিন গেলে বাসায় সবাই জানতে পারবে প্লিজ এখন বিয়ে করো আমাকে? (মেয়ে)
ছেলেটি : এতো কথা বলো কেনো। বলছি তো তোমাকেই বিয়ে করবো।
মেয়েটি : যদি বাসায় জানা জানি হয় তখন কি হবে আমার।
ছেলেটি : কেনো জানবে শুনে।
মেয়েটি : তুমি জানো না মেয়েরা গর্ভবতী হলে পেটের সাইজটা একটু বেরে যায়।
(খারাপ মাইন্ডে কেউ নিবা না)
ছেলেটি : তার মানে তুমি আমাকে বিশ্বাস করোনা তাই না। ঠিক আছে।
মেয়েটি : আচ্ছা তুমি কবে বিয়ে করবা আমাকে।
ছেলেটি : এই তো সামনের মাসে। না হলে পরের মাসে নিশ্চিত?
মেয়েটি : ভালো! একটি কথা মাথায় রেখো যদি সবাই জানা জানি হয় তাহলে আমি শেষ।
ছেলেটি : ঘুম পাচ্ছে কাল কথা হবে? তুমি ও ঘুমাও এখন।
“বলেই ছেলেটি ফোনটি কেটে দেয়। আর এই দিকে মেয়েটি মনে মনে বলতে থাকে। ইশশশ কেনো যে বিয়ের আগে নিজের পবিত্র দেহটা ওকে বিলিয়ে দিলাম। এখন আজ নাতে কাল শুরু করে দিছে”
“এর পর এইভাবে কথা বলতে বলতে আরো একটি মাস চলে যায়। কিন্তু ছেলেটা বিয়ের কথা বললেই এরিয়ে চলে? এই দিকে পেটের সন্তানটিও বড় হতে লাগলো। হঠাৎ একদিন মেয়েটি মাথা ঘুরে পরে যায়।
“আর সাথে সাথেই মেয়েটির বাবা মা ডাক্তার নিয়ে আসে বাসায়।
“ডাক্টার ভালো করে দেখা শুনার পরে সবাইকে বলে?
ডাক্তার : ভয় পাওয়ার কিচ্ছু নেই। আপনাদের জন্যে খুশির সংবাদ?
“তখন সবাই আশ্চর্য হয়ে বলে কিসের খুশির সংবাদ”
ডাক্তার : আরে আপনারা নানা নানি হতে যাচ্ছেন। আপনাদের মেয়ের গর্ভে সন্তান এসেছে।
“তখন মেয়েটির বাবা বলে ”
—কীইই বলেন ডাক্তার সাহেব এই গুলা। যার এখনো বিয়েই হলোনা তার পেটে সন্তান আসবে কি করে।
ডাক্তার : কিইই বলতেছেন এই সব। তার মানে এই সন্তান কি তবে______?
—সেটাই তো কেউ জানিনা। ( মেয়েটির বাবা)
ডাক্তার : ঠিক আছে ওকে জিঙ্গেস করুন সব কিছু। দেখেন কি বলে।
—এর পরে মেয়েটির বাবা তাকে সব কিছু সত্যি বলতে বলে। আর মেয়েটিও ভয়ে সব সত্যি কথা বলে দেয় বাবা কে।
“সব শুনার পরে মেয়েটির বাবা বলে।
—ছি…ছি…তোর মতো মেয়ে আমি লালন পালন করতেচি। আমি এই সমাজে এখন মুখ দেখাবো কি ভাবে। এই সব দেখার আগে কেনো আল্লাহ্ আমার মৃত্যু করলো না?
মেয়েটি : বাবা আমাকে মাপ করে দাও।
—তোর মতো মেয়ের মুখ আমি আর দেখতে চাইনা। যা আমার চোখের সামনে থেকে চলে যা। তোই ওই পাপিষ্ট মুখটা আমি দেখতে চাইনা?
—এই বলে মেয়েটিকে রুমের ভিতরে একা রেখে সবাই যায় বাহিরে।
—সবাই বহিরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটি রুমের দরজাটি লাগিয়ে দিয়ে। ফ্যানের সঙ্গে উরনা টাঙ্গিয়ে গলায় ফাসি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
আর গল্পটি এখানেই শেষ হয়ে যায়।
ভালোবাসো ভালো কথা। কিন্তু শরীর নিয়ে ভালোবাসা কখনোই ভালো কথা না। তাই আমারা এই সব খারাপ সম্পর্কে যাওয়ার আগে অবশ্যই বিয়ে করে নিবো।
অসমাপ্ত_
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত
বিষয়: #অসমাপ্ত #রম্যগল্প #সাহিত্য