শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

Somoy Channel
বৃহস্পতিবার ● ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » সাহিত্য রম্যগল্প » চন্দ্রাবতী
প্রথম পাতা » সাহিত্য রম্যগল্প » চন্দ্রাবতী
৭৮ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

চন্দ্রাবতী

চন্দ্রাবতীচন্দ্রা ঘরে একা ছিল।তার মামা মামী স্কুলে গিয়েছেন। এই সুযোগে বারিষ একটা বিরাট ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে।সে তার মায়ের সিঁদূরের কৌটা টা নিয়ে ওখান থেকে খানিক সিঁদূর আঙুলের ডগায় মেখে এনে একটানে লাগিয়ে দিলো চন্দ্রার সিঁথি থেকে একেবারে কপাল পর্যন্ত। চন্দ্রা সঙ্গে সঙ্গে বিলাপ করে উঠে বললো,’এ কী করলে বারিষ দা তুমি! সর্বনাশ করে ফেললে আমার!’
চন্দ্রা ভয়ে কাঁপছে। ভীষণ রকম কাঁপছে।আর তার কাজল মাখা চোখ থেকে টপটপ করে জল পড়ছে গালের উপর।বারিষ ওর একটা হাত খপ করে ধরে ফেললো। তারপর সঠানে চন্দ্রাকে বুকের সাথে লেপ্টে নিয়ে বললো,’আমি কোন সর্বনাশ করিনি তোমার চন্দ্র। আমি তোমায় বিয়ে করে ফেলেছি। এখন থেকে তুমি আমার বউ।’
চন্দ্রা কেঁদে ফেললো।
বারিষ এবার কান্নারত চন্দ্রাকেই চেপে ধরলো খাটের ওপর। চন্দ্রা বললো,’লাগছে তো!আর এসব কী করছো বারিষ দা। আমি কিন্তু মরে যাবো বলছি।’
বারিষ কিন্তু চন্দ্রার এসব অযুহাত শুনলো না।সে চন্দ্রার লাল লাল ঠোঁটের উপর ঠোঁট বসিয়ে দিল নিজের। তারপর বুকের উপর হাত দিয়ে উড়নাটা দূরে ছুঁড়ে ফেললো।
চন্দ্রা কাঁদছে এবং নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চাইছে। কিন্তু পারছে না।বারিষের বলিষ্ঠ দেহ থেকে কিছুতেই সে ছাড়া পাচ্ছে না।বারিষ এবার চন্দ্রার গায়ের কাপড় খুলে নিলো। দিনের আলোতে নিজের নগ্ন শরীরের উপর চোখ পড়তেই লজ্জায় মরে যেতে লাগলো চন্দ্রা। কিন্তু এতে বারিষের কী!সে মৃদু হেসে ফিসফিস করে চন্দ্রার কানের কাছে মুখ লাগিয়ে বললো,’বর-কনেতে লজ্জা থাকতে নেয় বুঝেছো?’
চন্দ্রা কথা বললো না।
বারিষ এবার সর্বনাশটা করেই ফেললো। অবশ্য চন্দ্রা ভেবেছিল বারিষ ওকে একটু জড়িয়ে ধরে চুমু টুমু খেয়েই ছেড়ে দিবে। কিন্তু বারিষ জঘন্য কাজটাই করে ফেললো।চন্দ্রা জান প্রান দিয়েও নিজের কুমারীত্ত্ব টিকিয়ে রাখতে পারলো না।একা একলা ঘরে পেয়ে অতকিছু করে ফেললো বারিষ দা তার সাথে!অথচ এই বারিষদাকে কত ভালো জানতো সে। এখন বুঝতে পারছে তার বারিষদা সত‍্যিকার কোন ভালো মানুষ নয়।সে একটা মেনিমুখো শয়তান।
চন্দ্রার সারা শরীর ব‍্যথায় ভরে গেছে। ঠোঁটের এক পাশে ভীষণ ব‍্যাথা লাগছে।মনে হয় কেটে গেছে।
সে কোনমতে নিজের শরীরে কাপড় গুলো জড়িয়ে নিয়ে বাথরুমে চলে গেল। ওখানে গিয়ে মস্ত আয়নাটার সামনে নিজেকে মেলে ধরতেই দেখলো পুরুদস্তুর একজন বিবাহিত মহিলা দাঁড়িয়ে আছে যেন আয়নার ভেতর।তার সিঁথি ভর্তি সিঁদূর। কিন্তু বাথরুমে গিয়েও তার রক্ষে হলো না।মেনিমুখোটা এখানেও চলে এসেছে। বাথরুমের ছিটকিনিটা এতোই দূর্বল যে বারিষ দরজা ধরে খানিক নাড়া দিতেই খুলে গেল দরজা। তারপর বারিষ নিজেও বাথরুমে ঢুকে গেল। তারপর দরজাটা ভালো করে লাগিয়ে দিয়ে চন্দ্রাকে চেপে ধরলো বাথরুমের দেয়ালের সাথে মিশিয়ে। তাদের উপর ঝিরঝির করে ঝর্ণার জল পড়ছে।তারা ভিজছে।চন্দ্রা ছটপট করছে ছুটে যেতে কিন্তু পারছে না।বারিষ তার গা থেকে ফের সমস্ত কাপড় সরিয়ে নিয়েছে। তারপর আবার—
চন্দ্রার খারাপ লাগছে।তার পেটে অসম্ভব রকম ব‍্যথা হচ্ছে।সে আস্তে করে বললো,’বারিষ দা আমার খুব কষ্ট হচ্ছে!’
বারিষ তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বললো,’এই আরেকটু লক্ষ্মী।’
বলেই সে আরো শক্ত করে চেপে ধরলো চন্দ্রাকে।
চন্দ্রা ব‍্যাথায় কঁকিয়ে উঠলো।
ঠিক তখন বাইরে থেকে বাথরুমে কে যেন নক করলো।ঠক ঠক ঠক।
চন্দ্রা ভয়ে মুচরে উঠলো।সে মনে মনে বললো,’ভগবান,রক্ষা করো প্লিজ!’
কিন্তু তার এই ডাক ভগবান শুনলেন না।এমনি থেকেই বাথরুমের দরজাটা হঠাৎ খুলে গেল।আর তখনই দেখা গেল সামনে দাঁড়িয়ে আছেন তার মামা অমল চ‍্যাটার্জি আর তার মামী ভূবন।বাবা মাকে দেখে বারিষ মোটেও লজ্জা পেলো না।ভয়ও না।সে বরং প‍্যান্টটা ভালো করে পড়ে তার বাবা মার সামনে দিয়েই বাথরুম থেকে বেরিয়ে ও ঘরে চলে গেল। কিন্তু চন্দ্রা বেরুতে পারলো না।সে দেয়ালের দিকে ফিরে তাকিয়ে আছে।তার গায়ে অবশ্য কাপড় জড়ানো আছে। কিন্তু সে এদিকে তাকাতে পারছে না। তাকালেই তো তার মামী দেখে ফেলবেন তার সিঁথিতে সিঁদুর।
কিন্তু কথায় আছে না যে যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই রাত্রি হয়। চন্দ্রার বেলায়ও তেমন কিছুই হলো। ভূবন বললেন,’এই চন্দ্রা এদিকে আয় ।’
চন্দ্রা এদিকে আসছে না।সে এক পাও নড়ছে না।সে যেভাবে দাঁড়িয়ে ছিল সেভাবেই দাঁড়িয়ে রইল ঠায়।
ভূবন এবার ধমকে উঠলেন। ,’কী বলছি শুনতে পাচ্ছিস না নাকি?
এখানে কী করছিলি তোরা দুজন?’
চন্দ্রা—

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত



বিষয়: #  #  #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)