মঙ্গলবার ● ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » খাগড়াছড়িতে ৪ ইউপিডিএফ নেতাকে গুলি করে হত্যা, নিখোঁজ ২
খাগড়াছড়িতে ৪ ইউপিডিএফ নেতাকে গুলি করে হত্যা, নিখোঁজ ২
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে গুলিতে প্রসীতপস্থী ইউপিডিএফ সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমা,খাগড়াছড়ি জেলা সহ-সভাপতি লিটন চাকমা,পিসিপির সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিনসা ত্রিপুরাসহ ৪ জন নিহত হয়েছে এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দু’জন নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর ২০২৩) রাতে আবারো আধিপত্য বিস্তারের জেরে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় ৯ নং ওয়ার্ডের ফতেহপুর এলাকায় গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের গুলিতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ৫৫ থেকে ৬০ রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে বলে অসমর্থিত একটি সূত্র জানায়।
এতে ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফ নেতা বিপুল চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা সহ-সভাপতি লিটন চাকমা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা,সদস্য রুহিন ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এ সময় কমান্ডার হরি কমল ত্রিপুরা ও চীফ কালেক্টর নীতি দত্ত চাকমাকে ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন ইউপিডিএফ।
গোলাগুলির ঘটনায় ঐ এলাকায় আতঙ্ক ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। এদিকে একাধিক অসর্থিত সূত্র হতাহতের সংখ্যা আরো বেশি দাবী করলেও ৬ জনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইউপিডিএফ।
এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ সংগঠন অংগ্য মারমা এর পক্ষ থেকে অভিযোগ করে, ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে নব্য মুখোশ আখ্যায়িত করে জেএসএস সংস্কারসহ দুইগ্রুপকে দায়ী করেন। একই সাথে হত্যাকাণ্ডের জন্য তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে হত্যার বিচার দাবী করেছে প্রসীত নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ। তবে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এর পক্ষ থেকে দায় স্বীকার করেনি কেউ।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে আইনি যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং লাশ উদ্ধারে পক্রিয়া পুলিশ কাজ করছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
এদিকে পাহাড়ে একের পর এক আধিপত্যের লড়াইয়ে ঝড়ছে তাঁজা প্রাণ। গোলাগুলিতে আবারো রক্তাক্ত হলো সবুজ পাহাড়। থেমে থেমে এমন ঘটনায় পাহাড়ের পরিস্থিতি দিনে দিনে ভয়স্কর রূপ নিচ্ছে। বাড়ছে লড়াই-সংঘাত আর হানাহানি।
বিষয়: #খাগড়াছড়ি #নিখোঁজ #হত্যা