শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

Somoy Channel
বুধবার ● ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » চাকরি » সিলেটে নতুন প্র তা র ক চক্র বে প রো য়া, ধরা পড়ছে না কেউ
প্রথম পাতা » চাকরি » সিলেটে নতুন প্র তা র ক চক্র বে প রো য়া, ধরা পড়ছে না কেউ
৯১ বার পঠিত
বুধবার ● ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সিলেটে নতুন প্র তা র ক চক্র বে প রো য়া, ধরা পড়ছে না কেউ

সিলেটে নতুন প্র তা র ক চক্র বে প রো য়া, ধরা পড়ছে না কেউসিলেটে একটি নতুন প্রতারক চক্র অপতৎপরতা শুরু করেছে। যারা সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের নামে ভুয়া বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে প্রতারণার চেষ্টা চালাচ্ছে। এরকম দুটি ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হলেও এখন পর্যন্ত ধরা পড়েনে কোনো প্রতারক।

পুলিশ বলছে- এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

তবে এমন প্রতারণা-চেষ্টার একটি ঘটনার পর জিডিতে উল্লেখ ‘প্রতারক’র মোবাইল ফোন নাম্বার বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বা কাউকে আটক করেনি কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

জানা যায়, সম্প্রতি সিলেটের করোনা ডেডিকেটেড হসপিটাল শহিদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে (পুরাতন সিলেট সদর হাসপাতাল) চাকরির ভুয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার চেষ্টা করে একটি চক্র। এ বিষয়ে হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান গত ১৫ নভেম্বর সিলেট কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন।

জিডি সূত্রে জানা যায়, ‘সিলেট জবস’ নামক একটি সাইটে (ফেসবুক পেইজ) ‘সিলেট সদর হাসপাতালের টিকেট কাউন্টারে দুজন নারী নিয়োগ দেওয়া হবে। বেতন ১৭ হাজার টাকা’ এমন একটি বিজ্ঞাপন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়। বিজ্ঞাপনের সঙ্গে একটি মোবাইল ফোন নাম্বারও দেওয়া হয় এবং বেলাল খান রাজ নামের একজন এ পোস্ট করেন। কিন্তু এ বিজ্ঞাপনের সঙ্গে শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

এ বিষয়ে শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (১৫ নভেম্বর) সিলেটভিউ-কে বলেন- এমন প্রক্রিয়ায় নিয়োগ-ই হয় না। এ হাসপাতালে নিয়োগের প্রয়োজন হলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে সরকারি নীতিমালা মেনে নিয়োগ দেওয়া হবে। এমন বিজ্ঞাপন নিশ্চয় কোনো প্রতারক চক্র প্রকাশ করেছে। এ চক্রের সদস্যদের দ্রুত খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে মানুষ বিভ্রান্ত হবে এবং হাসপাতালের সুনাম ক্ষুণ্ন হবে।

এদিকে, অনলাইনে প্রকাশ করা বিজ্ঞাপনের সঙ্গে দেওয়া মোবাইল ফোন নাম্বারটি এখনো সচল রয়েছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদক চাকরি প্রার্থী সেজে ওই নাম্বারে কল করলে ‘প্রতারক’ বলে- ‘এ পোস্টে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়ে গেছে। আর লাগবে না।’

এ ঘটনার পর সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকরির ভুয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার চেষ্টা করে একটি চক্র। ধারণা করা হচ্ছে- এটি একই চক্র।

জানা যায়, ওসমানী হাসপাতালের একটি ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি রবিবার (৩ ডিসেম্বর) অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে হাসপাতালের বেশ কয়েকটি পদের নাম উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে প্রাক্তন একজন পরিচালকের নামও উল্লেখ করা হয়, তবে সেখানে তার স্বাক্ষর ছিল না।

এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। ছড়িয়ে পড়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে একটি প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক পত্রিকার লোগোও যুক্ত করে দেয় প্রতারকরা।

এ ঘটনায় সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেট মহানগরের কোতোয়ালি থানায় জিডিটি করেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ। এতে তিনি অভিযোগ করেন, ‘প্রথম আলো’ পত্রিকার লোগো ব্যবহার করে কে বা কারা গতকাল (রবিবার) অনলাইনে হাসপাতালের নাম এবং প্রাক্তন একজন পরিচালকের নাম উল্লেখ করে স্বাক্ষরবিহীন একটি ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে দিয়েছে।

জিডিতে আরও বলা হয়, ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যেসব পদ উল্লেখ আছে, সেসব পদ এ হাসপাতালে বর্তমানে নেই। তাই ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনুরোধ জানাচ্ছে।

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া সিলেটভিউ-কে জানান, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমরা বিষয়টি অবগত হই। কে বা কারা বিভ্রান্তি ছড়াতেই ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইনে ছড়িয়েছে। এতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি। আর যারা এটা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আমরা থানায় জিডি করেছি।

তবে বিষয়টি ‘অবগত’ নন বলে সিলেটভিউ-কে জানান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ। তিনি বলেন- থানায় এমন অভিযোগ কেউ করেনি।

এর আগে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ সিলেটভিউ-কে বলেন- এখনো কেউ ধরা পড়েনি। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।



বিষয়: #  #  #  #  #  #  #


আর্কাইভ