শুক্রবার ● ১ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » বাংলাদেশ » নবীগঞ্জে খলিফা শাহ্ নুরের মৃত্যু বার্ষিকীতে বাঁধা! - মিছিল, বরবরচি হামলার- আহত-৩, টানটান উত্তেজনা
নবীগঞ্জে খলিফা শাহ্ নুরের মৃত্যু বার্ষিকীতে বাঁধা! - মিছিল, বরবরচি হামলার- আহত-৩, টানটান উত্তেজনা
আমাদের নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি বুলবুল আহমেদ জানান, খলিজ শাহ্ নুরের মৃত্যু বার্ষিকীতে মিছিলকে কেন্দ্র করে বরবরচিত হামলার- আহত-৩, এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় আবারো সংঘর্ষের আশংখা করছেন এলাকাবাসী। এমনই এক কান্ড ঘটেছে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের খলিলপুরে গ্রামে। ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও সুরেশ্বরীর খলিফা শাহ্ নুর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকীতে মিছিল নিয়ে বরবরচিত হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রামবাসী ও ভক্ত অনুসারীদের মধ্যে এ নেক্কারজনক ঘটনায় এনিয়ে তীব্র নিন্দার পাশাপাশি উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রয়াত শাহ্ নূর রহমান ছিলেন, একজন সাদা মনের মানুষ ও সাবেক ওয়ার্ড মেম্বার। যিনি সারাটি জীবন আধ্যাত্মিক চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে জীবন কাটিয়েছেন। এবং শরীয়তপুর জেলার ঐতিহাসিক পাক দরবার শরীফ শাহ সুরেশ্বরীর ভক্ত হয়ে আধ্যাত্মিক, তাসাউফ, আত্মশুদ্ধির চেতনায় মগ্ন ছিলেন। সুরেশ্বরী দরবার শরীফের অন্যতম পীর সৈয়দ তৌহিদুল হোসাইন (শাহী নূরী) এর অন্যতম খলিফাও ছিলেন তিনি৷
গত বছরের (৩০ নভেম্বর) ২০২২ ইংরেজীতে নিজ গৃহে ৫০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না-লিল্লাহ ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুর পৃর্বে জীবনের শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী ইন্তেকালের পর মরহুমের নিজ বাড়িতেই সমাহিত হয়। দুঃখ জনক হলেও সত্য যে গ্রাম ও সমাজের কিছু ইসলাম বিরুদ্ধীরা তিনিকে নিয়ে নানান রকমের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে বাঁধা প্রধান করে। অবশেষে নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে পুলিশের সহায়তায় সমাহিত করা হয়৷
প্রসঙ্গত:- প্রয়াত শাহ্ নূর রহমান একজন ইউপি সদস্য সহ সবার প্রিয়মুখ ও জননন্দিত সাবেক ইউপি সদস্যও ছিলেন৷ যার বাবা প্রয়াত শাহ্ সুন্দর আলী তিনিও ছিলেন, নবীগঞ্জের কালিয়ার ভাঙ্গাঁ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান।
তিনির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ার ভাঙ্গাঁ ইউনিয়নের খলিলপুর গ্রামে একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন৷ জীবদ্দশায় তিনি নিঃসন্তান হিসেবে মারা যান৷ তবে, মৃত্যুকালে তিনির একমাত্র বোন, আত্মীয় স্বজন সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন৷
এ ব্যাপারে মরহুমের ছোট বোন শাহ্ আফিয়া খাতুন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার ভাই সারাটি জীবন মানুষের সেবা করে গেছেন। আমার বাবা নিঃসন্দেহে একজন অলি আউলিয়ার অন্ধভক্ত মানুষ ছিলেন৷ আমরা মরহুম বাবার স্মৃতি ধরে রাখতে যা যা প্রয়োজন এলাকার মানুষকে সাথে নিয়েই তা করবো, ইনশাআল্লাহ৷ সত্যের জন্য
শুধু আপনারা আমাদের পাশে থাকলেই হবে।গতকাল (৩০ নভেম্বর) ছিল প্রয়াত প্রয়াত শাহ্ নূর রহমান (মেম্বার) এর মৃত্যু বার্ষিকী। এ উপলক্ষে তিনির বাড়িতে বাদ এশাহ মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করা হয়৷ রাত ৯টার দিকে হঠাৎ করে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় এলাকার কিছু ইসলাম বিরুদ্ধী মৌলবাদী চক্রের লোকজন৷ তারা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘরে রক্ষিত মাজারকে টেনে হেঁচড়ে ভাংচুর করে। এতে বাড়ি ও মাজারের কয়েকজন লোক এগিয়ে আসলে তাদের মধ্যে ৩ জনকে গুরুত্ব আহত করে। এমনকি মরহুমের বোনকেও নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ তাছাড়া মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা শিরিক গোনাহ বলেও মৌলবাদীরা ফতোয়া দেয়৷ তারা দলে দলে মিছিল নিয়ে বাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালায়৷
এ ব্যাপারে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন মরহুমের পরিবার ও ভক্ত আশেকান বৃন্দ৷ না হয় ঐ এলাকায় বড় ধরনের আশংখা দেখা দিতে পারে।
বিষয়: #আহত #উত্তেজনা #টানটান #বরবরচি #মিছিল #হামলা